স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় মেয়ের ফাঁসি, মায়ের যাবজ্জীবন
- কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৯:১০
কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার স্কুলছাত্র তোফায়েল আহমেদ হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়েছে আট বছর পর। এ রায়ে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জুয়েনা আক্তার (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পিপুলিয়া পাইকপাড়া গ্রামের দুলাল ভূইয়ার মেয়ে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন জুয়েনা আক্তারের মা রিনা আক্তার (৫০)। শহরের বত্রিশ এলাকায় থাকতেন তারা।
অপর দিকে নিহত তোফায়েল আহমেদ বত্রিশ মনিপুরঘাট এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে। তিনি শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিনা আক্তার আদালতে উপস্থিত থাকলেও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তার মেয়ে জুয়েনা আক্তার জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েনা আক্তারের ছেলে রাসেল ভূঁইয়াও (১২) এ মামলার আসামি। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার চলছে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ মার্চ বত্রিশ এলাকায় পূজামণ্ডপ দেখতে গিয়েছিল স্কুলছাত্র তোফায়েল। এ সময় রাসেল ভূঁইয়ার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় জুয়েনা আক্তার ও রিনা আক্তার তোফায়েলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ মার্চ তোফায়েলের বাবা আওলাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আহসান হাবীব তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত রোববার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি আবু সাঈদ ইমাম। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ক্ষীতিশ দেবনাথ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা