২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ - প্রতীকী

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রিজভি সরদার নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।

রিজভি সরদার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় আমির হোসেন সরদারের ভাতিজা। রোববার বেলা ১১টায় গোসাইরহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটারের একটি কক্ষে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। রিজভি শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহামুদপুর গ্রামের মৃত তেলাম সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।

মামলা ও ধর্ষিতার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা একজন গৃহিণী ও কলেজ ছাত্রী। এই বছর তিনি এইচএসসি পাস করেছেন। দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী প্রবাসে থাকেন। রিজভি তার পাশের গ্রামে বসবাস করেন এবং তার ছোট ভাইয়ের সাথে পড়াশোনা করেন ওই গৃহবধূ। সেই সুবাদে রিজভি গাঁয়ে পড়ে গৃহবধূর পড়াশোনার বিষয়ে সহায়তা করতেন।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, কিছুদিন যাবৎ এনজিওতে চাকরি দেয়ার কথাও বলেন রিজভি। শনিবার চাকরির স্বাক্ষাৎকার দেয়ার কথা বলে তিনি ওই গৃহবধূকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সোহাগ হাসপাতাল কোয়াটারের একটা কক্ষ খুলে দিলে ওই কক্ষে মেয়েটিকে আটকে রেখে হাত ও মুখ বেধে রিজভি ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

একপর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকারে লোকজন এসে রিজভিকে আটক করে। পরে রিজভির চাচা ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আমির হোসেন সরদার এসে রিজভিকে ছাড়িয়ে ভাগিয়ে দেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে মেয়েটি আদালতে এসে রিজভির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

রিজভির চাচা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় আমির হোসেন সরদার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। যে ভাতিজা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে আমি তার পরিচয় দিতে চাই না। তাকে পালাতেও আমি কোনো সহায়তা করি নাই।’

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মৃধা নজরুল কবির বলেন, মেয়েটিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন কক্ষে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছেন। বিষয়টি আমরা ট্রাইব্যুনালকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশে দিয়েছেন। আমি আশাবাদী আমরা ন্যায় বিচার পাব।


আরো সংবাদ



premium cement