দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফের ভাঙন, এক ঘাট বন্ধ

পদ্মায় পানি কমার সাথে সাথেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং স্রোতের গতি বৃদ্ধির কারণে ভাঙন আরো তীব্রতর হয়েছে।

ভাঙনের কারণে দৌলতদিয়া ৩ নং ফেরিঘাট এলাকায় ২০০ ফুট এলাকা সোমবার রাতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে নতুন করে আবার হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৩ নং ফেরিঘাট।

এর আগে বর্ষার সময় আগস্ট মাসে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাটটি ভাঙ্গনে প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর তা সম্প্রতি মেরামত করা হয়েছে।

ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ। ঘাট এলাকায় ভাঙন রোধে বিআইডব্লিউটিএ জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে ২৩ হাজার ৬০০ বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা অব্যহত রয়েছে।

মঙ্গলবার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে ৬নং ফেরিঘাট পর্যন্ত আধা কিলোমিটার জুড়ে দেখা যায় ঘাট এলাকায় বেশ কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ২ ও ৩ নং ফেরিঘাটের মাঝামাঝি বেশ কিছু স্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে করে ৩ নং ফেরিঘাটের র‌্যামবেইজ অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ফলে ৩নং ফেরিঘাটের একটি পকেট বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পদ্মাপারের মাটি নরম হয়েছে। সেই সাথে পদ্মায় স্রোতের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা করে স্থায়ী সমাধান চান দৌলতদিয়া স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দীন পাঠান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের আধুনিকায়নের জন্য চলতি বছর মার্চ মাসে একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সে ব্যাপারে ডিজাইন তৈরি করছে।