২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ভাঙন, ক্ষতির মুখে ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ভাঙন, ক্ষতির মুখে ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প - নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে গাইডবাঁধে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাতে হঠাৎ করেই সেতুর দক্ষিণ পাশে গড়িলাবাড়ি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এতে মুহুর্তেই বাইডবাঁধের ১৫০ মিটার অংশ ও পাকা দালানসহ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে এ গাইডবাঁধের ৫০ মিটার অংশ এবং ২৭টি বাড়ি নদীতে হারিয়ে যায়। এই ভাঙনের ফলে সরকারের ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

জানা যায়, বিগত ২০০৪ সালে সেতুর পূর্ব পাড়ের দণি পাশে কার্পেটিং ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে এই গাইডবাঁধ নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য- ভাঙনের কবল থেকে সেতুটি রক্ষা করা। কিন্তু দীর্ঘদিন রণাবেণের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বাঁধটি। ২০১৭ সালে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। তখন বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরের কয়েকশ’ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে পুনরায় বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সেতু কর্তৃপ। সম্প্রতি ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৪ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার এই গাইড বাঁধ নির্মাণ করে ‘রানা বিল্ডার্স এন্ড সহিদ ব্রাদার্স’ নামের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হয় গত ১২ সেপ্টম্বর। কিন্তু প্রথম থেকেই গাইডবাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের কাজের অভিযোগ উঠে।

স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের গড়িলাবাড়ি এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ করেই বাঁধের মধ্যবর্তী অংশে ভাঙন দেখা দেয়। বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন এলাকার অনেকেই।

তারা জানান, এই গাইডবাঁধের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। দুইবারের ভাঙনে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকেই সেতু কর্তৃপরে গাফিলতি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করা হলেও সেতু কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের কাজ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার হয়নি। আমরা নদী তীরবর্তী অসহায় মানুষ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করছি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল নিম্নমানের কাজের কথা অস্বীকার করে বলেন, নদীর গভীরতা বৃদ্ধির কারণে শনিবার রাতে হঠাৎ গ্রাম রক্ষা রাঁধের ৪০ মিটার অংশ ধসে গেছে। এতে সেতুর কোন ঝুঁকি নেই। ভাঙন রোধে রোববার থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল