২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ভাঙন, ক্ষতির মুখে ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ভাঙন, ক্ষতির মুখে ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প - নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে গাইডবাঁধে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাতে হঠাৎ করেই সেতুর দক্ষিণ পাশে গড়িলাবাড়ি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এতে মুহুর্তেই বাইডবাঁধের ১৫০ মিটার অংশ ও পাকা দালানসহ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে এ গাইডবাঁধের ৫০ মিটার অংশ এবং ২৭টি বাড়ি নদীতে হারিয়ে যায়। এই ভাঙনের ফলে সরকারের ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

জানা যায়, বিগত ২০০৪ সালে সেতুর পূর্ব পাড়ের দণি পাশে কার্পেটিং ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে এই গাইডবাঁধ নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য- ভাঙনের কবল থেকে সেতুটি রক্ষা করা। কিন্তু দীর্ঘদিন রণাবেণের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বাঁধটি। ২০১৭ সালে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। তখন বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরের কয়েকশ’ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে পুনরায় বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সেতু কর্তৃপ। সম্প্রতি ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৪ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার এই গাইড বাঁধ নির্মাণ করে ‘রানা বিল্ডার্স এন্ড সহিদ ব্রাদার্স’ নামের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হয় গত ১২ সেপ্টম্বর। কিন্তু প্রথম থেকেই গাইডবাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের কাজের অভিযোগ উঠে।

স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের গড়িলাবাড়ি এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ করেই বাঁধের মধ্যবর্তী অংশে ভাঙন দেখা দেয়। বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন এলাকার অনেকেই।

তারা জানান, এই গাইডবাঁধের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। দুইবারের ভাঙনে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকেই সেতু কর্তৃপরে গাফিলতি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করা হলেও সেতু কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের কাজ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার হয়নি। আমরা নদী তীরবর্তী অসহায় মানুষ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করছি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল নিম্নমানের কাজের কথা অস্বীকার করে বলেন, নদীর গভীরতা বৃদ্ধির কারণে শনিবার রাতে হঠাৎ গ্রাম রক্ষা রাঁধের ৪০ মিটার অংশ ধসে গেছে। এতে সেতুর কোন ঝুঁকি নেই। ভাঙন রোধে রোববার থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী

সকল