২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘কিছুক্ষণ পর খবর পাই ব্রিজের নিচে পড়ে থাকা লাশটি আমার ছেলের’

পড়ে থাকা লিজনের লাশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্রিজের নিচ থেকে রেদওয়ান আহম্মেদ খান লিজন (২৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ-মরিচখালী সড়কের পানাহার গ্রামের সামনে মাদলের ব্রিজের নিচ থেকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লিজন খান গুনধর গ্রামের মরহুম আমিনুল ইসলাম খানের ছেলে। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ও অবিবাহিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে মাদলের ব্রিজের নিচে যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন করিমগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত লিজনের লাশের পাশ থেকে কয়েক জোড়া স্যান্ডেল, প্লাস্টিকের (কোল্ড ড্রিংসের) তিনটি বোতল ও একটি মোবাইল সেট পায়। উদ্ধারকৃত মোবাইল সেটটি লিজন খানের বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের মাথায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

পরিবারের লোকজন জানায়, লিজন খান ঢাকার নাবাবগঞ্জে একটি জুতার কারখানায় চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন।

লিজনের বড় বোন মিশন ও মা রুবিয়া আক্তার নয়া দিগন্তকে জানান, ঢাকা থেকে এসে বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি করে রাত ১০টার দিকে বাড়ির বাংলো ঘরে লিজন ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘুমানোর ১০ থেকে ২০ মিনিট পর কে বা কারা আবার ফোন করে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিয়ে যায়।

মা রুবিয়া আক্তার বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে বাংলা ঘরে গিয়ে দেখি লিজন নাই। ভেবেছি রাতে গিয়ে কোনো বন্ধুর বাড়িতে হয়তো ঘুমিয়েছে। এর মধ্যেই প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পাই মাদলের ব্রিজের নিচে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে। কিছুক্ষণ পর খবর পাই লাশটি আমার লিজনের।’

লিজনের বোন মিশন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। রাতে আমার ভাইকে ফোন করে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। পুলিশ ওই ফোন চেক করলেই জানা যাবে খুনি। আমরা ধারণা তার বন্ধুদের কেউ তাকে মেরেছে।'

করিমগঞ্জ থানার ওসি মো: মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনো ধারণা করতে পারছি না এটা হত্যা নাকি অপমৃত্যু। তিনটি বোতলের মধ্যে যে খালি বোতলটি পাওয়া গেছে সেটি কীটনাশক বা এরকম কিছু বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের বুকে, পেটে যে কালো দাগ হয়ে আছে, বজ্রপাতের আঘাতের মতো মনে হচ্ছে। মাথার আঘাতটি ইটের আঘাতের মতো মনে হচ্ছে।’

দুপুর সোয়া একটার দিকে ওসি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এটি হত্যাকাণ্ড না অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement