ঘিওরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ভাঙনের আশঙ্কায় বসতবাড়ি-ফসলি জমি
- ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সসংবাদদাতা
- ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:১৩
মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলা পুরাতন ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা ও ইছামতি নদীতে বড় বড় ট্রলারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নদীর পাড়ের বসত বাড়ি এবং প্রায় তিনশ’ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পুরাতন ধলেশ্বরী, কালিগঙ্গা ও ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলারে দেশীয় ছোট ড্রেজার ও নদীর পার থেকে হাজার হাজার ঘন ফুট বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্জিত হচ্ছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুস্তা, নারচী, বেগুন নারচী, ঘিওর পূর্ব পাড়া, বাইলজুরি, মাইলাগী, বৈইলট, সিংজুরি, আশাপুর, উত্তর তরা, নকিববাড়ী, কেল্লাই, জাবরা বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামের নদীর পাড় ঘেষে ৩০-৪০টি নৌকায় দৈনিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
কতিপয় প্রভাবশালীদের মদদে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বালু ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। সংঘবদ্ধ এ চক্রটির কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। জীবনের ভয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাদের বাহামভুক্ত লোকজন বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এতে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি এলাকাবাসীর ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে আশেপাশের বসবাসকারী বাড়িঘরগুলো।
নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বালু ব্যবসায়ী একটি মহল বন্যা মৌসুমে বড় ট্রলারে দেশীয় ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার লোক জনের কাছে বিক্রি করছে। করা হচ্ছ। প্রতি ট্রলার বালু উওোলন করে চাঁদা দিতে হয় ২০০ টাকা। ট্রলার মালিকরা মাটি বিক্রি করে ১২০০-১৪০০ টাকা। গড়ে প্রতিদিন ৯০/১০০ ট্রলার বালু উত্তোলন করা হয়। অনেক ট্রলার মালিকরা নিজেরাই ট্রলারে মিনি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে। নদী থেকে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর ঘর-বাড়িসহ বহু ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
তারা আরো জানান, প্রতিবছর ভরা বন্যা মৌসুমে এই চক্রটি ট্রলার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে। ফলে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বহু লোকজন ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন করলে কুস্তা, নারচি, শ্রীধরনগ, সহ বহু এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি। গত কিছু দিন আগেও বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। আবার দ্রুত মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা