১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লেবাননে বিস্ফোরণে নিহত রাশেদের পরিবারে শোকের মাতম

লেবাননে বিস্ফোরণে নিহত রাশেদের পরিবারে শোকের মাতম - নয়া দিগন্ত

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ রাশেদকে একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাশেদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন রোববার সন্ধায় জানান, লেবাননে নিহত রাশেদ ফতুল্লার নন্দলাল পুর এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাশেদ ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড নন্দলালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও লৎফন নেছার দ্বিতীয় ছেলে। তাদের দুই ছেলে দুই মেয়ে। গত ৬ বছর আগে লেবাননে যায় রাশেদ।

রাশেদের মা লুৎফন নেছা জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি তার ৪ সন্তানদের কষ্ট করে লালন পালন করেন। সুখের আশায় রাশেদকে পাঠানো হয় লেবানন। গত ১৪ দিন ধরে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে তার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর তার খালাতো ভাই আমাদের খবর দেয়। রাশেদের লাশের অপেক্ষায় রয়েছি। ছেলেকে শেষ বারের মতো একনজর দেখতে চাই বলেন তিনি।

রাশেদের বোন তাহমিনা আক্তার জানান, অকালে আমার ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ভাইয়ের লাশের অপক্ষায় আছি আমরা।

জানা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে ৪০০ গজ দূরে ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ রাশেদ। মঙ্গলবার বিস্ফোরণে পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুরে জলদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত হারুন হাসপাতালে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিক মোহাম্মদ রাশেদ বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, তাকে জলদ্বীপ এলাকায় হারুন হাসপাতালে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার আত্মীয় স্বজনরা লাষ শনাক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, বৈরুতে গত ৪ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। এই বিস্ফোরণে মারা গেছেন পাঁচ বাংলাদেশি।


আরো সংবাদ



premium cement