২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দোহার ও নবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

দোহার ও নবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ - ছবি : নয়া দিগন্ত

পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অন্যদিকে সাভারের বংশী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে দূর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এতে দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ রক্ষা বাঁধের নীম্নাঞ্চল বিস্তীর্ণ প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তিতপালিদয়া, পানিকাউর, কঠুরি, আশয়পুর, রায়পুর, ঘোষাইল, কেদারপুর, আর ঘোষাইল, রাজাপুর, বালেঙ্গা, কান্তারটেক, খাটবাজার, নয়াডাঙ্গী, চারাখালী ও পশ্চিম সোনাবাজু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

অপর দিকে দোহার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নয়াবাড়ি, মাহমুদপুর, বিলাসপুর, সুতারপাড়া, নারিশা ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী। এছাড়া উপজেলার ধোয়াইর বাজারসহ পূর্ব ও পশ্চিম ধোয়াইর গ্রামের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার, বিলাসপুরের মধুরচর, রানীপুর, কৃষ্ণদেবপুর, রাধানগর, মাহমুদপুরের নারায়ণপুর, হরিচন্ডি ও মুকসুদপুরের পদ্মাতীরবর্তী অঞ্চলের অনেক এলাকা পানির নিচে। ফলে পদ্মা নদী তীরবর্তী এই মানুষগুলো প্রাণ বাঁচাতে ও জীবিকার তাগিদে অন্যত্র সরে যাচ্ছে।

পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুল, হাঁট-বাজার, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা। নৌকা না থাকায় অনেকেই কলাগাছের ভেলা ব্যবহার করেও হাঁট-বাজার করছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। পদ্মার পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে এসব অঞ্চলের কৃষক পরিবারগুলো। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এ দিকে কয়েক দিন প্রবল বৃষ্টির কারণে নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়া খালীর রক্ষা বেড়ি বাঁধটি হুমকিতে রয়েছে বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যা কবলিতদের মাঝে সহায়তা দেয়া হয়েছে। নতুন করে যদি কোনো চাহিদা থাকে তাহলে তালিকা করে সেটাও করা হবে বলে জানান তিনি।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, দোহারে পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। এ ছাড়া মুকসুদ এলাকায় গাজী ইসলামিয়া মাদরাসায় আশ্রয় নেয়া পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণ ও রান্না করা খাবার পৌছে দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


আরো সংবাদ



premium cement