২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাদ কৃষিতে সফল দম্পতি

ছাদ কৃষিতে সফল দম্পতি এম এ ওয়াদুদ ও তার স্ত্রী শিলা আক্তার - ছবি : নয়া দিগন্ত

বর্তমান কৃষিতে ছাদ কৃষি একটি পরিচিত নাম ও লাভজনক প্রকল্প। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি কাজে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশে ছাদ কৃষি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক সময়ে কেবল ছাদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ছাদে কেবল ফুল গাছ লাগানো হতো। এখন ফুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ছাদ কৃষি, ছাদে উৎপাদিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় শাকসবজি ও ফলমূল। ছাদে উৎপাদিত ফসল নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারছেন অনেকে। দেশের অথনীতিতেও কমবেশি ভূমিকা রাখছে এই ছাদ কৃষি। রাজধানী ঢাকায় ছাদ কৃষি শুরু হলেও এখন রাজধানীর সীমানা পেরিয়ে গ্রামের মানুষও ছাদে গাছ লাগানের প্রতি ঝুঁকছেন। ছাদ কৃষিতে অনেকেই সফলতার মুখ দেখছেন।

ঢাকার দোহার উপজেলার ইকরাশী এলাকার এম এ ওয়াদুদ ও তার স্ত্রী শিলা আক্তার এই দম্পতি ছাদ কৃষি করে ইতোমধ্যেই সফলতার মুখ দেখেছেন। বাড়ির ছাদে উৎপাদিত হচ্ছে সবজি ও নানা ধরনের ফুল-ফল। এখন তাদের দেখাদেখি অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে ইকরাশী এলাকার এম এ ওয়াদুদ মিয়া তার মেয়ের জন্মদিনে একটি আম গাছ উপহার দেন। গাছটি ছাদে রোপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় ছাদ কৃষির। এম এ ওয়াদুদ পেশায় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হওয়ার তার স্ত্রী শিলা আক্তার গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। একটি আম গাছ রোপনের পর ছয় মাসের মধ্যেই ছাদে স্থান আরো কয়েক প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো দিনে দিনে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি ফুল ফলে ভরে উঠায় আগ্রহ বাড়তে থাকে ছাদ কৃষিতে। দীর্ঘ সময় বাড়ির ছাদ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলেও এখন এই দম্পতির ছাদে চাষ হচ্ছে মরিচ, বেগুন, বরবটি, ঝিঙা, ধুন্দল, পেঁপে, শিম, লাউ, কলা, আখ, কমলা, মাল্টা, লেবু, জামরুল, কদবেল, বড়ই, আপেল, বিলম্ব, আম, পেয়ারা, তেতুল, জলপাই, আলু বুখারা, সফেদা, ড্রাগন, জামরুল, লিচু, ঘৃত কুমারী,নাশপতি, মালভেরি ইত্যাদি।

নিয়মিত পরিচর্যা করায় অল্প সময়ের মধ্যেই গাছগুলো ফল দিয়ে শুরু করে। নিজেদের প্রয়োজনীয় সবজি ছাদে রোপনকৃত গাছ থেকে সংগ্রহ হয়ে থাকেন তারা। ছাদ কৃষির গাছগুলো সাধারণত টবের মধ্যে লাগানো ও বড় হয়ে থাকে। মাটি, সার ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক সরবরাহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী করে থাকেন তারা। যে কারণে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। প্রতিদিন ভোরবেলা গাছগুলোকে পরিচর্যা করে থাকেন। টবের গাছগুলো সতেজ রাখতে পানি ও রোদ দরকার বলে জানান তারা। পোকার আক্রমণ হলে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী জৈব পদ্ধতিতে তা দমন করেন। তবে মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে নিতে পারলে ফসল বেশি পাওয়া যায় বলে জানায় এই দম্পতি।

এ বিষয়ে এম এ ওয়াদুদ জানান, নিজে পরিশ্রম করে যে কোনো ফসল উৎপন্ন করা গর্বের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা উদ্যোগ করেছেন। আমরাও আমাদের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে বাড়ির ছাদ কৃষি কাজের মাধ্যমে সবাইকে উদ্ধুদ্ধ হয়েছি। আগামীতে ছাদ কৃষিতে আরো সফলতা কীভাবে পাওয়া যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যপ্তি বাড়ানো হবে।

শিলা আক্তার জানান, সাংসারিক কাজকর্ম করার পর যে সময় পাই তা গাছের পরিচর্যা করার জন্য যথেষ্ট। অবসর সময়টুকু খুব ভালোভাবেই কাটে এবং মানসিক প্রশান্তি বাড়ে।

দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব জানান, ছাদে যে কেউ ইচ্ছা করলেই বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে পারেন। এ জন্য উপজেলা কৃষি অফিস সব ধরণের সহযোগিতা করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল