২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাটুরিয়ায় ১৫ দিনের কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে চারগুণ!

১৫ দিনের কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে চারগুণ! - ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কাঁচা মরিচসহ বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। বন্যার আগে সাটুরিয়ায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৫০-৬০ টাকায়। পনের দিনের বন্যার পর সেই মরিচের দাম গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি ২০০ টাকায়। প্রায় পাঁচ গুণ বেশি দামে মরিচ কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

গত দশ দিনে উজান থেকে পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে যায় উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়ে লাখো মানুষ। বন্যার সময় উপজেলার বেশির ভাগ সবজি খেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক।

শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। কিন্তু এখন বিক্রেতারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছেন ২০০ টাকা। আকাশচুম্বী দাম শুনে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ২০-২৫ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, বরবটি ৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কাঁচা মরিচের এত দাম চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা মো. হোসেন মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে সব খেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার পর গত ৮ জুলাই থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। দাম বাড়তে বাড়তে এখন ২০০ টাকায় এসে ঠেকেছে।

আরেক বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে সাটুরিয়ার সবজি কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের আড়তে যেত। বন্যার কারণে সাটুরিয়ার বেশির ভাগ খেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

জানতে চাইলে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও বন্যায় অধিকাংশ মরিচ চারা মরে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে এখনো অত প্রভাব পড়েনি।’

সাটুরিয়া বাসষ্ট্যান্ড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মনজুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচসহ সবজির দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিক্রেতাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি দামে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement