ফতুল্লায় স্ত্রী-সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা রিকশা চালকের
- নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
- ০৮ জুলাই ২০২০, ২১:০০, আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০, ২১:০৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক রিকশাচালক। পুলিশ হেফাজতের তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ বলছে ওই রিকশাচালক হারেস মিয়ার (৪৫) অবস্থাও আশংকা জনক। নিহতরা হলেন হারেস মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫) ছেলে সোহাগ (১৫) ।
মনোয়ারা বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে মারা গেছেন। এর আগে মঙ্গলাবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মারা যান সোহাগ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রিকশাচালক হারেস মিয়া, তার স্ত্রী হোসিয়ারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম (৪০), তাদের ছেলে গার্মেন্ট শ্রমিক সোহাগ ও মেয়ে বীথি আক্তার (১৩) টিনশেড বাড়িতে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় হারেস তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করলে ছেলে সোহাগ এতে বাধা দেয়। তখন হারেস তার ছেলেকেও ছুরিকাঘাত করে। এসময় সে নিজেও ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ওই সময় মেয়ে বীথির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। হারেছ ও মা মনোয়ারা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম হাসপাতালে মারা যান।
ওসি আসলাম হোসেন আরো জানান, বুধবার সন্ধার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর জখম হওয়া মনোয়ারা বেগম মারা গেছেন। ঘাতক হারেছের অবস্থায়ও আশঙ্কাজনক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা