২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনারগাঁওয়ে নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

সোনারগাঁওয়ে নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা - নয়া দিগন্ত

বর্ষা আসতে না আসতেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নৌকা তৈরীর ধুম পড়ে গেছে। বর্ষার আগমণকে ঘিরে সোনারগাঁওয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে পানি। গ্রামের চারপাশে বর্ষার থইথই পানির আগাম পূর্বাভাসের সাথে সাথে গ্রামগঞ্জের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বর্ষায় কোথাও যেতে নৌকাই একমাত্র ভরসা।

তবে আগের মতো এখন আর নৌকার চাহিদা নেই। তারপরও এ উপজেলার নিচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের বর্ষায় যাতায়াতের ভরসা একমাত্র নৌকা। তাইতো সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। চলছে নৌকা তৈরী ও মেরামতের ধুম। কেউ কাঠ কাটছে, কেউ আবার নৌকায় আলকাতরা লাগাচ্ছে। হাতুড়ি-কাঠের খুটখাট শৈল্পিক ছন্দে যে কারও মন ভরে যায় এখানে এলে। শুধু মাত্র বর্ষা মৌসুমকে ঘিরেই কারিগররা নৌকা তৈরীতে পুরো সময় ব্যয় করছেন।

বর্ষা শেষে এসব কারিগররা কাঠমিস্ত্রি ঘর ও আসবাপত্র তৈরীতে নিজেদের মনোনিবেশ করেন। এক সময় বর্ষা মৌসুমে সোনারগাঁওয়ের চলাচলের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা। বর্ষার শুরুতেই এলাকার মৌসুমি জেলেরা নৌকা দিয়ে রাত-দিন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। উপজেলার নিচু এলাকার বাসিন্দারা নৌকার মাধ্যমে খেয়া পার হয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম ও স্কুল, কলেজ, হাট বাজারে পারাপার হয়ে থাকে। হাট-বাজার থেকে মাল সামগ্রী ও জমি থেকে ধান-পাট কেটে আনা নেওয়া ও স্কুল-কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেও নৌকার ব্যবহার করা হতো। সেই দৃশ্য এখন আর চোখেই পড়েনা।

প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মানুষের চলাচলের স্থলপথের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন আর আগের মত নৌকার ব্যবহার নেই। সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের কারণে দিনদিন নৌকার ব্যবহার কমে যাওয়ায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত কারিগরদের জন্য টিকে থাকাই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চরপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা তৈরির জন্য কারখানার পাশে কাঠ চিড়াই করার জন্য একটি করাত কল বসিয়েছেন।

পাশেই নৌকার কারিগররা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নৌকা তৈরিতে। কেউ কাঠ কাটছেন। কেউ কেউ কাঠ সমান করছেন। বউ-জি’রা আবার নৌকার তলাতে আলকাতরা দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করছেন।

কারিগরেরা বলেন, নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা এখন কিছুটা ভাটা পড়েছে। নব্বইয়ের দশকের পর যান্ত্রিক সভ্যতা ফিরে আসায় নৌকার কদর কিছুটা কমে যায়। প্রতিবছর বর্ষায় নৌকা তৈরির ধুম চলে।

নৌকার কারিগর শ্রী আশু নন্দ বিশ্বাস জানান, বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাদের তৈরি নৌকা পার্শবর্তী রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল হাটে বিক্রি করা হয়। সপ্তাহের ৬ দিন নৌকা তৈরি করে প্রতি বৃহস্পতিবার ওই হাটে বিক্রি করে থাকেন। কেউ কেউ আবার কারখানা থেকেও নৌকা কিনে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, ৮ হাতের একটি নৌকা বাজারে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ১০ হাতের নৌকা ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন। একেকটি নৌকা বিক্রি করে খরচ বাদে হাতে থাকে ৩ থেকে ৪’শ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
নেতাদের মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিল বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’ বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার

সকল