২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোরগঞ্জে নতুন করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২ জন

-

কিশোরগঞ্জের ৮ উপজেলায় নতুন করে আরো ৫৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৫৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুজনের মৃত্যুতে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিনজন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১৯ জন। শনিবার দুপুরে নয়া দিগন্তকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো: মুজিবুর রহমান।

নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৫ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন ও ভৈরব উপজেলায় ১৭ জন। মৃতের তালিকায় যুক্ত দুজনের একজন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পাসপোর্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা, আরেকজন ভৈরব উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা। তারা বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা ২৩৬ জনের নমুনা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১২০ জনের নমুনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২২ জনের পজিটিভ এবং ৯৮ জনের নেগেটিভ এসেছে।

অন্যদিকে গত বুধবার জেলা থেকে সংগৃহীত মোট ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪১ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৩২ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ ও ১০৪ জনের নেগেটিভ এসেছে।

এছাড়া ভৈরব উপজেলার পুরাতন পজিটিভ পাঁচজনের আবারো পজিটিভ এসেছে। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত ৫৫৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮২ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫০ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২২ জন, ভৈরব উপজেলায় ২০০ জন, নিকলী উপজেলায় ১০ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩৭ জন, ইটনা উপজেলায় ১৭ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৫ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪ জন কোভিড রোগী পাওয়া গেছে।

জেলায় করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন ডা. মো: মুজিবুর রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যার পাশাপাশি মৃতের হারও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ মুহূর্তে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হবে সবাইকে।

তিনি আরো বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সব ধরণের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement