২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশী হত্যা

ফরিদপুরে মানব পাচার আইনে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে মানব পাচার আইনে মামলা, একজন গ্রেপ্তার - ছবি : নয়া দিগন্ত

গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে অন্য ২৫ বাংলাদেশীর সাথে গুরিতে নিহত হন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের তরুণ কামরুল শেখ (২৫)। এ ঘটনায় কামরুল মেখের বাবা কবির শেখ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

গত সোমবার রাতে কামরুলের পাচারের ঘটনায় জড়িত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১২ সালের মানবপাচার দমন প্রতিরোধ আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কামরুলের বাবা। সালথা থানার পুলিশ ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দী গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক গাজী (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে গোহালা বাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এনামুলকে।

প্রসঙ্গত কামরুল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের কবির শেখ ও জামেলা বেগম দম্পতির ছেলে। তারা পাঁচ ভাই বোন। ভায়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। পড়াশুনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এর পর জমিতে কাজ করতেন। বিয়ে করেন পাঁচ বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলিমুদ্দিনের মেয়ে মিনাকে (২০)। তাদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে আছে, নাম রমজান। সংসারের অবস্থার উন্নতির জন্য গত ডিসেম্বরে পাচারকারী চত্রের খপ্পড়ে পড়ে ইতটালির পথে বাংলাদেশ ত্যাগ করে কামরুল।

ফরিদপুর জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে অজ্ঞাতস্থানে ফরিদপুরের সালথার আলমপুর গ্রামের কবির শেখের ছেলে কামরুল শেখসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৮ জন বাংলাদেশীর উপর মানব পাচারকারী চক্র হামলা ও গুলি বর্ষণ করে। কামরুল শেখ সহ ২৬ জন নিহত হয় এবং অপর ১২ জন গুলিবর্ষনের ঘটনায় মারাত্বক আহত অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে। ওই ঘটনার অংশ হিসেবে গত ১ জুন সালথা থানার একটি মামলা দায়ের করেন কমরুলের বাবা কবির শেখ। ওই মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এনামুল হক গাজীকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপালগঞ্জের গোহারা বাজার এলাকা হতে গোপন সংবাদের ভিত্তেতে সালথা থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মমিনুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তার হওয়া ওই আসামী বাদীর নিকট হতে এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামীদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে কামরুল শেখকে অবৈধ পথে লিবিয়া পাঠানোর বিষয়ে এবং লিবিয়া পাঠানো বাবদ বাদীর নিকট হতে টাকা গ্রহনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও জানা যায় আসামীগণ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ব্যাপক প্রলোভন দেখাইয়া বিভিন্ন এলাকার যুব সমাজকে ইতোপূর্বেও অবৈধভাবে লিবিয়া পাঠিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এনামুল হক গাজীর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২

সকল