অনেক বিপত্তি পেরিয়ে সৎকার হলো করোনায় মৃত মুক্তিযোদ্ধা নেতার
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ৩১ মে ২০২০, ২১:১৯, আপডেট: ৩১ মে ২০২০, ২০:৩৫
ফরিদপুরে রোববার সকালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার। সাদালাপী ও বন্ধুবৎসল এই মুক্তিযোদ্ধা নেতা একই সাথে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটিরও সভাপতি। তিনি শহরের অন্যতম নিলটুলী কালিমন্দিরের পুরোহিত।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান বুলু জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফমেক হাসপাতালে যান তিনি। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হাসপাতাল থেকে লাশ নেয়া হয় অম্বিকাপুর মহাশ্মশানে। পরিবারের দু’জন সদস্য বাদে সেখানে তার নিকটজন বা সম্প্রদায়েরও কেউ ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্মশানে নেয়ার পর সেখানে স্থানীয় কতিপয় বসতি তার লাশ নামাতে বাধা দেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত হন। এ অবস্থায় বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। সংসদ সদস্য বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেন। একইসাথে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন মোজাকে সেখানে যেতে বলেন।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচএম ফোয়াদ জানান, তখন শ্মশান কমিটি, পূজা উদযাপন কমিটিসহ স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দকে ফোন করেও তাদের আনতে পারিনি। পৌর মেয়রকেও পাওয়া যায়নি ফোনে। পরে আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে লাশ নামিয়ে দাহ করার চুল্লিতে নেয়ার ব্যবস্থা করি।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি বরকত ইবনে সালাম জানান, লাশ চুল্লিতে নিলেও সেখানে শ্মশানের কেউ ছিলেন না। ছিলোনা জ্বালানী খড়ির ব্যবস্থা। পরে জ্বালানির ব্যবস্থা হলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম লাশের উপর সেগুলো সাজিয়ে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহতের অন্য কোনো স্বজন কিংবা সম্প্রদায়ের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে নিজেই এ দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিই। তারপর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজার নেতৃত্বে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হলে মৃতের বড় সন্তান দীপ চক্রবর্তী মুখাগ্নি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা