২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত আসলাম ফকির আবার গ্রেফতার

রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত আসলাম ফকির আবার গ্রেফতার - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সাহেব চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড হতে মওকুফ পাওয়া সেই আসলাম ফকিরকে (৫০) আবারো একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার সকাল ৬টার দিকে যশোরের চৌগাছা কলেজ পাড়ার পাশে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৮, সিপিসি-২-এর একটি আভিযানিক দল।

গ্রেফতারের পর তাকে ফরিদপুর ক্যাম্পে নেয়া হয়। আসলাম ফকির ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের মৃত শুকুর ফকিরের ছেলে।

র‌্যাব-৮ সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক দেবাশীষ কর্মকার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে আসলাম ফকিরকে যশোরের চৌগাছা থানার কলেজপাড়া এলাকা হতে রোববার সকালে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

র‌্যাব-৮ অধিনায়ক দেবাশীষ কর্মকার জানান, জানা গেছে লক্ষীপুর গ্রামে শহীদ শেখ (৪৮) নামে এক ব্যক্তি খুনের অভিযোগে গত ২২ এপ্রিল আসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে আবারো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় ভাঙ্গা থানায়। ওই মামলার পর হতেই তিনি পলাতক ছিলেন।

তিনি আরো জানান, গত ২২ এপ্রিলের পর হতে কমপক্ষে পাঁচবার তিনি স্থান বদল করেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময় হতে তিনি নিজেকে একজন প্রবাসী পরিচয় দিয়ে চৌগাছার কলেজপাড়ার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। আসলাম ফকির বর্ডার অতিক্রম করে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন। তবে তার কাছে পাসপোর্ট না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।

এর আগে ২০০৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গার মানিকদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম সাহেদ আলী ওরফে সাহেব মিয়া হত্যা মামলায় আসলাম ফকিরসহ অপর দুই আসামি তারা মৃধা ও ইমারত আলীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আসামিদের আপিলে হাইকোর্টে এ রায় বহাল রাখা হয়।

২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর আসলাম ফকিরের ফাঁসি কার্যকরের দিন ধার্য্য হয়। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিবিল সার্জনসহ সকলকে চিঠি দিয়ে প্রস্তুতও থাকতে বলা হয়েছিলো এজন্য। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ফাঁসির এক দিন আগে অস্বাভাবিক আচরণের কারণে তার ফাঁসি স্থগিত হয়ে যায়।

ওই দিনই দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তিনি। এরপর সাধারণ ক্ষমায় তার ফাঁসি মওকুফ করে ১৪ বছরের সাজা দেয়া হয়। কারাগারে সদাচরণের কারণে সাজা কমিয়ে ১৩ বছর ২ দিন কারাভোগের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট গাজীপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান আসলাম ফকির।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি নিজ এলাকায় এসে আবার রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। এরপর আবার তার হুকুমে আরো একটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’ বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের

সকল