২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ - নয়াদিগন্ত

ঈদ শেষে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট হয়ে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। এরই মধ্যে আম্পানের প্রভাবে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী উঠা নামা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি পৃথকভাবে সরজমিন পরিদর্শন করেছেন ফেরি সেক্টর বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ খাজা মিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, গত তিন দিনে পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটুরিয়া প্রান্তে প্রতিটি পন্টুনের র‌্যামের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেঁউয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড ও চলাচলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। বহরের ছোট-বড় ১৭টি ফেরির মধ্যে আটটি চলাচল করলেও বাকি গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানিয়েছেন, ভাঙ্গন ও পানি বৃদ্ধির ফলে পাটুরিয়ার ৩,৪ ও ৫ নং ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভাঙ্গন রোধে গত দু’দিনে প্রায় ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৩ নং ঘাটটি সংস্কার করা হয়েছে। বাকি ঘাট গুলোতে সংস্কার কাজ চলছে।

তিনি সাংবাদিকদের আরোও জানান, ঘাটে চলমান অবস্থা পরিদর্শনে আসা বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় সংস্কার কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে আসা রাজধানীমুখী যাত্রীরা পরিবহন সঙ্কটে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও সিএনজি’যোগে গন্তব্যে পৌচেছে। এ দুটি ঘাট থেকে অতিরিক্তে ভাড়ায় প্রাইভেট ও মাইক্রোবাসে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গণ পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চালকরা মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ রয়েছে। চালকদের এহেন কান্ডে গত এক সপ্তাহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৫ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া হাই-ওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সরকারী নির্দেশনা ও বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট ও মাইক্রোবাস চালকদের বিরুদ্ধে আনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এতে করে যানবাহন চালকরা অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে, মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কাজ করছে। 

 


আরো সংবাদ



premium cement