২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদের পরদিনও শিমুলিয়ায় দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল

মঙ্গলবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পাড় হতে দেখা যায়। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঈদের পরের দিনেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পাড় হতে দেখা যায়। এদিকে লঞ্চ বন্ধ থাকায় একই ফেরিতে মানুষ ও গাড়ি নদী পাড় হচ্ছে।

জানা যায়, ঘাটের ১০টি ফেরি বিরতিহীনভাবে চলছে। এখনো ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ি এবং শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এ নৌরুটে চার শতাধিক স্পিডবোট ও ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করলেও গত ২৬ মার্চ থেকে এগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ পাড় হচ্ছে ফেরিতে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের পরের দিন সকাল থেকেই ঢাকাগামী কিছু যাত্রী দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে।

ভাড়া করা মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এমনকি ট্রাক-পিকআপে করেও যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। এতে তাদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্পটে সচল রয়েছে চেকপোস্টগুলো। কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা হ্যান্ড মাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পদ্মা পাড় হওয়ার কথা বলছি। কিন্তু যাত্রীরা মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব তো প্রশ্নই ওঠে না। তারা শারীরিক দূরত্বও মানছেন না।

তিনি বলেন, ঈদের দিনেও নদী পারপার স্বাভাবিক ছিল। পদ্মায় নৌ পুলিশের টহল রয়েছে। অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ যাতে পদ্মা পাড় হতে না পারে সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান জানিয়েছেন, ঈদের আগের দুই দিনের চেয়েও ঈদের পরের দিন যাত্রীর চাপ বেশি। সকাল থেকে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী এই ঘাট দিয়ে পার হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কম। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস বেশি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে যাত্রীদের দ্রুত পার করে দেয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement