২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বাধা নেই

-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর ফলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথে আর কোনো বাধা নেই।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেছেন। তবে এর অনুলিপি আমি এখনও পাইনি।’

এর আগে বুধবার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই দিন কারাগার থেকে মাজেদকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল চৌধুরী পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া আদালত তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাজেদের মৃত্যু পরোয়ারা কারাগারে পৌঁছায় এবং তাকে পড়ে শোনানো হয়।

বুধবার রাতে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন বঙ্গভবনে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি সেটি খারিজ করে দেন।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

পলাতক আসামিরা হলেন সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলে উদ্দিন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement