২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নবীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

নবীনগরে চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত - ছবি: নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ফেইসবুকে সামাজিক জনসচেতনতামূলক পোস্ট দেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার হাতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে স্থানীয় এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উওেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জম জমাট তরমুজের বাজার, লোকে লোকারন্য হয়ে যায় ওই স্থান। এ নিয়ে ফেইসবুকে লাইভে আসেন দেশ সংবাদ অনলাইন পোর্টাল ও পল্লী টিভির (আইপি টিভি) স্থানীয় সাংবাদিক মো: আক্তারুজ্জামান।

লাইভে এসে তিনি বলেন, সারাদেশ যখন করোনা আতঙ্ক নিয়ে প্রতিটি দিন পার করছে। সরকার নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তরমুজের জমজমাট বাজার বসেছে। অতিরিক্ত জনসমাগম ঘটিয়ে তারা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। এই দৃশ্য কি চেয়ারম্যান সাহেবের নজরে আসে না? তিনি করোনা সচেতনতায় কি দায়িত্ব পালন করছেন? এই লাইভ দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: খোরশেদ আলম।

নির্যাতিত সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান, নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন সাহেব সলিমগঞ্জ বাজারে আসেন বাজার মনিটরিং করতে। এই সংবাদ পেয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মো: খোরশেদ আলম। আমাকে দেখতে পেয়েই গালমন্দ ও কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দমকি প্রদান করেন ।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা দেখে উপস্থিত সকলেই অবাক হয়ে যান। ওসি রুহুল আমিন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আপনি এই রকম একটি কাজ করতে পারেন না। আমাদের সামনে আপনি একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত দিতে পারেন না। সে অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।

ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার সময় আমরা দোকানের ভিতর ছিলাম, পরে বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যান সাহেবকে কঠিন ভাষায় জবাব দিয়েছি।

চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, আমি রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি। তার লাইভে আমার সম্মানহানী হয়েছে। সে কারণে রাগে তাকে মারতে গিয়েছিলাম। তরজুম বিক্রেতাদের আমিও নিষেধ করেছিলাম। তারা আমার কথা শুনে নাই।

এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উওেজনা বিরাজ করছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা নবীনগরে। 


আরো সংবাদ



premium cement