রাজবাড়ীতে চুক্তিভিত্তিক মজুরের কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা
- কালুখালী (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
- ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৮:০২, আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৩১
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ১৭ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশর সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এরই ফাঁকে বাবামায়ের সাথে কৃষি কাজে সহায়তা করছে তারা। কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে অন্যের কৃষি কাজে সহায়তা কেরছেন।
রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়িতে বসে পেঁয়াজ কাটছে তারা। অনেকেই আবার অন্যের বাড়ির পেঁয়াজ কেটে দিয়ে কিছু টাকা আয় করছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে কালুখালীর তোফাদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ৭-৮ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক জায়গায় বসে পেঁয়াজ কাটায় ব্যস্ত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনায় কারণে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা নিজেদের পেঁয়াজ কাটছে।আবার যাদের নিজের পেঁয়াজ নেই তারা প্রতিবেশীদের পেঁয়াজ কেটে দিচ্ছি। এক মণ পেঁয়াজ কেটে দিলে তারা আমাদের ৩০ টাকা করে দিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ মন পেঁয়াজ আমরা কাটতে পারি।
পেঁয়াজচাষি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এখন পেঁয়াজ ঘরে তোলার মৌসুম চলছে। পেঁয়াজ কাটার মানুষের পাওয়া খুব কঠিন। এদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মনের আনন্দেই পেঁয়াজ কাটছে। একমণ পেঁয়াজ কাটলে আমরা তাদেরকে পেঁয়াজ অথবা মনপ্রতি নগদ ৩০ টাকা করে দিচ্ছি।
অপরদিকে তারা করোনার কারণে সচেতনতা রক্ষা করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পড়ে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ কেটে চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা