২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা এক হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে

করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা এক হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্তে মারা যাওয়া নারীর সংস্পর্শে আসায় একটি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়কে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।

শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা করোনা সংক্রান্ত ফোকাল পার্সনও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত ওই নারীকে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে সেবা প্রদানকারী একজন চিকিৎসক, নার্স, এম্বুলেন্স চালক,ল্যাব টেকনিশিয়ান, আয়াও চেম্বার এসিস্ট্যান্টকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই নারীকে যে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে সেখানের ওয়ার্ড বয়কে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বন্দর রসুলবাগ এলাকার ৫০ বছর বয়সী ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে নারায়ণগঞ্জ একটি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। করোনা আক্রান্ত এমন সন্দেহে সেখান থেকে পাঠানো হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। ৩০মার্চ কুর্মিটোলা হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরে আইইডিসিআর রোগীর লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।

স্বজনরা ওই নারীকে বন্দর এনে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার দাফন করে।

বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের রিপোর্টে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপরই এ তথ্য জানানো হয় জেলা সিভিলসার্জনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে।

এঘটনারপর বৃহস্পতিবার রাত ১০ দিকে বন্দর রসুলবাগ এলাকার ১শ বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাতে হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায়া অনেক পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছে। অনেকে সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার খেতে পারেনি।


আরো সংবাদ



premium cement