২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

৮০ হাজার পরিবারকে গাসিক মেয়রের খাদ্য সহায়তা

৮০ হাজার পরিবারকে গাসিক মেয়রের খাদ্য সহায়তা - নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ৮০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশে কিছুসংখ্যক লোক নিয়ম কানুন না মেনে ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছে। এতে এ ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এজন্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহষ্পতিবার হতে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জোরে শোরে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। তারা বিজ্ঞান সম্মতভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন যাতে রাস্তায় বা হাট-বাজার ও দোকানে অযথা লোকজনের সমাগম না হয়। আশা করছি আজকের পর থেকে রাস্তায় বা হাট-বাজারে লোকজনকে বিক্ষিপ্তভাবে চলাচল করতে দেখা যাবে না। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিশে^র অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সক্ষম হয়েছি। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো বলে আশা করি। সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সেনিটাইজার ব্যবহার এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এ মহানগরের প্রতিটি অসহায়, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া কর্মহীন পরিবারের সদস্যরা খাদ্য পাবে এবং সবাই নিরাপদে থাকবে।

গাসিক মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা এসব গরীব কর্মহীন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ১৫ দিনের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। এ খাদ্য সহায়তার আওতায় নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগনের মাধ্যমে ৬৫টি কমিটি কাজ করছে। প্রথম ধাপে আমরা মহানগরের ৬০হাজার পরিবারকে দুই হাজার এক'শ টন খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। পরবর্তী ধাপে তালিকা তৈরী করে আরো ২০ সহস্রাধিক পরিবারকে পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে প্রতি পরিবারকে ৩১ কেজি থেকে ৩৫কেজি খাদ্য সামগ্রী তাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে প্রতি পরিবারকে ন্যূনতম ১৫ কেজি চাউল, ১২ কেজি আলু, ২ কেজি করে পিঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও মুসুরী ডাল বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মহীনদের তালিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এসব সামগ্রী তাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হবে।

করোনার রেশ না কাটতেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, করোনা-ডেঙ্গু এগুলো একটি মহামারী ভাইরাস জাতীয়। গাজীপুর মহানগরীর কোন নাগরিককে যাতে এগুলো আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য মহানগরবাসীকে সুরক্ষা করতে আমাদের পক্ষ থেকে যতোটা সম্ভব চেষ্টা করবো। গাজীপুর মহানগর এলাকায় অনেক অপরিকল্পিত বাড়ি, মার্কেট ও ময়লা আবর্জনা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে। এসময়ে যাতে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব না হয় সেজন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আমরা মশা নিধনের জন্য বিদেশ থেকে ঔষধ আমদানীর উদ্যোগ নিয়েছি।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন খোকন, সেলিম রহমান ও কাউসার আহমেদ এবং পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement