শ্রীনগরে ধর্ষণ চেষ্টার পর বাক প্রতিবন্ধীর আত্মহত্যা
- মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২৭ মার্চ ২০২০, ২০:২১
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক বাকপ্রতিবন্ধী ধর্ষণ চেষ্টার বিচার না আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের সিংহের মাঝি পাড়া গ্রামের মৃত হাফিজউদ্দিনের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে শিউলী আক্তার (৩৮)। বৃহসস্পিতবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পার্শবর্তী মুন্সীর হাটি গ্রামের রফিকের পুত্র শরীফ (৩০) জোরপূর্বক তার ঘরে প্রবেশ করে শিউলীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় শিউলীর চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে শরীফ পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি করের পালাতে গিয়ে জুতো নিতে পারেননি তিনি।
শিউলী পরিবারের লোকজনকে ইশারায় শরীফের জুতা দেখিয়ে দেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে পরের দিন সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক তার বাড়িতে শিউলীসহ শরীফ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ডেকে বিচার সালিশ বসান। এ সময় শরীফকে জুতা পেটা করে সমাধানের চেষ্টা করেন রফিক মেম্বার।
এর পরের দিন সকালে শিউলী প্রথমে কীটনাশক পান করে ও পরে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন শিউলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিউলীর বড় ভাই শাহ আলম অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় রফিক মেম্বার তার বাড়িতে আমাকে না জানিয়ে আমার বোনের বিচার সালিশ করেন। শুনেছি শরীফকে জুতাপেটা করে ঘটনার সমাধান দেন মেম্বার।
অপর বড় ভাই আব্দুল খালেকের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, কাউকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে বিচার-সালিশ করে। ন্যায় বিচার না পেয়ে আমার বাকপ্রতিবন্ধী ননদ মনের দুঃখে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এ বিষয়ে ষোলঘর ইউপি সদস্য মো: রফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমার বাড়িতে সালিশে বসা হয়েছিল। এর বেশি কিছু জানি না। আমি চেয়ারম্যান বাড়িতে আছি। আপনারা এখানে এসে কথা বলেন।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা