১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজীপুরে এসে পৌঁছেছে করোনা পরীক্ষার কীট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম

গাজীপুরে এসে পৌঁছেছে করোনা পরীক্ষার কীট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম - সংগৃহীত

গাজীপুরে এসে গাজীপুরে এসে পৌঁছেছে করোনা পরীক্ষার কীট ও চিকিৎসা সরঞ্জামাধি। বৃহস্পতিবার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চীন থেকে ২০ হাজার কিট, ৯ লাখ মাস্ক ও ৬ হাজার বিশেষ গাউন ও শরীরের তাপমাত্রা মাপার ৩০০ যন্ত্র বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনে এসে পৌঁছেছে।

মেয়র আরো বলেন, গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সিটি করপোরেশনের পানির গাড়ির সাহায্যে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। নগরবাসীর হাত ধোয়ার সুবিধার্থে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পাঁচ সহস্রাধিক বেসিন বসানো হয়েছে। করোনা সচেতনতায় নগরির প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে। নরবাসীকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশনা।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে সংক্রমণ শুরু হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভয়ংকর এ করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই তিনি এসব উদ্যোগ নিয়েছেন। শুধু নগরবাসীকেই নয়, পুরো জেলায় ভাইরাস প্রতিরোধক এসব ইকুইভমেন্ট বিতরণে তার পরিকল্পনা রয়েছে। একজন নাগরিকও যেন সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে। ‘যেখানে সংক্রমণ সেখানেই সীমাবদ্ধ’ এমন কর্মসূচী হাতে নিয়ে সিটি করপোরেশনের পুরো জনবলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মেয়র আরো জানান, ইতোমধ্যে মহনগরে করোনা সংক্রান্তে ৬৫টি কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান ব্যতীত কোনো প্রবাসী এলাকায় ঢুকলে, অপ্রয়োজনে কোনো নাগরিক রাস্তা-ঘাট হাট-বাজারে ঘোরাফেরা করলে এসব পর্যবেক্ষণ করবেন কমিটির সদস্যরা। ইতোমধ্যে মহানগরের দুই হাজার ৬০০ মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে তারা মুসল্লি ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন।

এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৮০টি মাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন রাস্তা, হাট-বাজার ও মোড়ে অস্থায়ীভাবে পাঁচ হাজার প্লাস্টিকের ড্রাম বেসিন বসানো হয়েছে। ভাসমান মানুষ সেখানে হাত ধুইয়ে জীবাণুমুক্ত হতে পারবেন।

এদিকে হাসপাতাল, কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষধের দোকান ব্যতিত সকল দোকানপাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতান ২৬ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এ সময়ে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়ার জন্যও জেলাবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement