২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাওয়া ঘাটে করোনা-উৎসব!

মাওয়া ঘাটে করোনা-উৎসব! - নয়া দিগন্ত

সারাদেশে করোনা মোকাবেলায় চলছে সতর্কতা। করোনা ঝুঁকি এড়াতে যখন জমায়েত, সমাবেশ নিষেধ কিন্তু ব্যতিক্রম মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকলে ফেরিগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ঘাটে আসছে পদ্মা পাড়ি দিতে। ঝুকি নিয়ে ট্রলারে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে চলছে। নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করেই নৌযানগুলো যাত্রী পার করতে হিমশিম খাচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ আসতে শুরু করে।

শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ জানান, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু ঢাকা থেকে এখনো যাত্রীদের চাপ আসছে শিমুলিয়া ঘাটে।

ফেরিগুলোতে যাত্রী ও ছোট ছোট গাড়ি পার করতে হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কেউ বিধিনিষেধ মানছেন না, ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করেই যাত্রীদের চাপ আছে।

ট্রলার, স্পিডবোট ভাড়া করেই যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। দেশের সতর্ক অবস্থায় শিমুলিয়াঘাটের এরকম পরিস্থিতি ঝুকিপূর্ণ। ঘাট এলাকায় বর্তমানে ৮ শতাধিক ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি গাড়িগুলোও পার করা যাচ্ছে না।

করোনা ভাইরাস (ক্যাভিড-১৯) কোনো বিষয়ই না- এমনটিই মনে হয় মাওয়া ঘাট এলাকায়। মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুই দিন দিনভর এতটা মানুষের চাপ দুই ঈদের কোনো ঈদেও হয় না। কোনো কোয়ারেন্টাইন, কোনো আইসোলেশন কোনো ভাইরাসই যেন এই বাধ ভাঙ্গা যাত্রীদের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে। বাড়িতে যেতেই হবে। কোনো আইন মানি না। কোনো নিষেধ মানি না। কোন ভাইরাস মানি না। মৃত্যুকে পরোয়া করছেন না এই যাত্রীরা। এমনটিই মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাওয়া ঘাটের এক কর্মকর্তা।


আরো সংবাদ



premium cement