২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় ধর্ষণে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

-

রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণের শিকার হওয়া প্রতিবন্ধীর মা এ মামলাটি দায়ের করেন।

ধর্ষণে অভিযুক্ত নুরজামাল (৪৩) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানাধীন ষোলরশি এলাকার ইলিয়াস উদ্দীন ও আছিয়া নেছার ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ভাদাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার মোকসেদ আলীর বাড়িতে বাসা ভাড়ায় থাকতেন।

এ ব্যাপারে বাদি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার স্বামী মাটি কাটার কাজ করেন। বাসায় তার ১২ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ে থাকে। বিবাদি নুরজামাল তাদের পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া। তাদের অনুপস্থিতে নুরজামাল তার মেয়েকে ফুসলিয়ে দীর্ঘ এক বছর যাবৎ অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে তার প্রতিবন্ধী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ও নুরজামালকে এ জন্য দায়ী করে। এ ঘটনা পাশের ভাদাইল এলাকার আ: হাকিমের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৬) ও ওই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন মাদবরের ছেলে সাইফুল শিকদারকে জানালে তারাসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষক নুরজামালকে রোববার রাতে আটক করে রাখে।

বিচারের মাধ্যমে ফয়সালা করে দিবে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের বাবা-মাকে আশ্বস্ত করেন তারা। রহস্যজনক কারণে বিচার ফয়সালার পরিবর্তে ধর্ষক নুরজামালকে তারা ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। তারা উপায়ান্তর না পেয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক ইউনুস আলী বলেন, বিবাদি নুরজামালকে ধরতে অভিযান চলছে। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement