২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাই কারাগারে

প্রতীকী ছবি -

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুলাভাই কর্তৃক কিশোরী শ্যালিকাকে (১৩) জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কিশোরী আট মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দুলাভাই নুর মোহাম্মদ মামুনকে গ্রফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরমণ্ডলিয়া গ্রামের রিক্সাওয়ালা রাজ্জাক মিয়ার বাড়ির নুরুল হকের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের বাড়ি চরএলাহী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরলেংটা গ্রামে। গত বছরের ৫ জুন বিকেলে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে একা পেয়ে তার বড় বোনের ভগ্নিপতি জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম চিৎকার করতে চাইলে আসামি মামুন তার মুখ চেপে ধরেন। এ ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। ফলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওই কিশোরী কাউকে কিছু বলেননি। ৪-৫ মাস পর তার শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে স্বভাবতই ঘটনা প্রকাশ পায়। ভিকটিম বিষয়টি পারিবারকে জানায়। সে বর্তমানে ৮ মাসের গর্ভবতী।

আসামি বাদীর বড় মেয়ে লাইলী বেগমের স্বামী। সংসারের অশান্তি বা সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে পাবিবারিকভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। কোনো সমাধান না হওয়ায় বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা। মামলা নং-১৩, ১৯/০২/২০২০।

মামলা দায়ের পর ওই দিন রাতেই পুলিশ আসামি নুর মোহাম্মদ মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। আসামি মামুন বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: রবিউল হক জানান, মামলাটি দায়েরের ১ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement