২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাড়ির মালিকসহ ৪ জন মিলে পোশাক শ্রমিককে রাতভর ধর্ষণ

বাসা ভাড়া না দেয়ায় বাড়ির মালিকসহ ৪ জন মিলে পোশাক শ্রমিক রাতভর ধর্ষণ - ফাইল ছবি

বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে আবারো আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৪ জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাড়ির মালিক আবুল কালামকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২ টায় আশুলিয়ার জামগড়া ফকিরবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে আবুল কালামের বাড়ির একটি ভাড়া কক্ষে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় ধর্ষকরা ধর্ষিতার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে দরজা আটকিয়ে রাখে। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে বুধবার দুপুরের দিকে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ী থেকে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত আবুল কালাম (৪০) আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ির বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ফার্মেসী ব্যাবসায়ী।

ভুক্তভোগী তার লিখিত অভিযোগে বলেন, সে পশ্চিম জামগড়া এলাকায় আবুল কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে ডিইপিজেডের নতুন জোনে একটি পোশাক কারাখানায় কাজ করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিবহন চালক স্বামী ও তিনি নিজ কক্ষেই ছিলেন। এসময় রাত সোয়া ১২টায় বাড়ির মালিক কালাম ও তার পাঁচ সঙ্গীকে নিয়ে ডিসেম্বর মাসের বকেয়া ২ হাজার টাকা ভাড়ার জন্য তার কক্ষে আসে। কারখানা থেকে তাদের বেতন দেয়া হয়নি বলে বাড়ির মালিককে এ কথা জানায় তারা। কিন্তু মালিক কালামের সহযোগী দুই জন তার স্বামীকে পাশের কক্ষে আটকে রাখে। পরে জোরপূর্বক ওই পোশাক শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে পালাক্রমে ৪ লম্পট ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে বাড়ির মালিক কালামকে ওই নারী চিনতে পারেন। বাকিদের পরিচয় তিনি জানেন না বলেও জানান। এসময় ধর্ষকরা তার কাছে থাকা তার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

লম্পট তিন ধর্ষক ওই পোশাক শ্রমিক নারীর হাত-পা চেপে ধরে এবং বাড়ির মালিক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকী তিনজন পরবর্তীতে ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে সকালে পাশের কক্ষ থেকে দরজা খুলে তার স্বামীকে উদ্ধার করে এবং আশুলিয়া থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন।

এদিকে, ঘটনার পরপর আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিক আবুল কালামকে আটক করে। ঘটনায় জড়িত বাকী অভিযুক্তদের আটক করতে পারেননি পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিকের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত বাড়ির মালিক কালামকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকী অভিযুক্তদের আটকের পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। ভুক্তভোগি ওই নারী চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement