১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধরা পড়লে কেউ চেনে না

ধরা পড়লে কেউ চেনে না - ছবি : নয়া দিগন্ত

অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল বেডে শুয়ে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মো: বাদল। তাকে দেখতে হাসপাতালে বেডের পাশে দাঁড়িয়ে বর্তমান সময়ে আলোচিত যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম)। যেখানে জি কে শামীম দাঁড়িয়ে তার এক হাত দূরত্বে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই।

জি কে শামীমের সাথে তার আলাপচারিতা চলছে। দু'জনই খোঁজ নিচ্ছেন আবুল হাসনাত শহিদ মো: বাদলের। অথচ শুক্রবার র‌্যাবের অভিযানে জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জি কে শামীম নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কেউ না। তাকে আমি চিনি না। তার সাথে কোনো সময় পরিচয়ও হয়নি।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ফজলুল বারী তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সে ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক টেবিলে বসে খাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমান ও বর্তমান সময়ে আলোচিত জি কে শামীম। নিকেতনে জি কে শামীমের অফিসে এ খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয় বলে জানা গেছে। তবে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জি কে শামীমের ছবি রয়েছে, এ ছাড়া র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ছবি রয়েছে। সেখানে শামীম ওসমানের সাথে তার ছবি থাকা দোষের কিছু নয়। কারণ জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার আগে একজন ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
জানা গেছে, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার জি কে শামীমের সাথে নারায়ণগঞ্জের অনেকেরই ছিল সরাসরি যোগাযোগ। বিশেষ করে ঠিকাদারি কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত তেমন ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগটা ছিল একটু বেশি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথেও যোগাযোগ ছিল জি কে শামীমের। এর সূত্র ধরেই ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাতে দলটির ৭ নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে জি কে শামীমের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর এই প্রস্তাবক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমও এ কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমরা জি কে শামীমকে চিনি না। চিনতামও না। সেদিন আমাদের সেক্রেটারি (আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল) জি কে শামীমের নাম প্রস্তাব করেন। তার সাথে সভাপতিরও মত ছিল। কিন্তু না চেনার কারণে এ নিয়ে আমি, শাসমুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাচ্চু ভাই, মেয়রসহ আরো অনেকেই এ ব্যাপারে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলাম।

এ দিকে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া জি কে শামীম আলীগঞ্জ মাঠ প্রসঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় পলাশ ফতুল্লা মডেল থানায় ২০১৬ সালের ১২ মে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। এই হুমকির নেপথ্য কারণ- মাঠ রক্ষার্থে উচ্চ আদালতে মামলা করেন পলাশ। আর এ কারণে আটকে যায় অফিসার্স কোয়ার্টারের কাজ।

এ প্রসঙ্গে কাউসার আহম্মেদ পলাশ বলেছেন, ২০১৬ সালের ১২ বেলা পৌনে ২টায় এবং একই দিন রাত ৯ টার দিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয়ে জি কে শামীম হুমকি দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে আলীগঞ্জ মাঠ নিয়ে মামলা চলছিল। সেটি উঠিয়ে নিতে তিনি হুমকি দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু সমর্থকদের মাতামাতি করতে মানা করলেন শান্ত বান্দরবানের কেউক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক ৮, অস্ত্র উদ্ধার স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ২ আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে নেমে শিশুর মৃত্যু

সকল