১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ খুনের ঘাতক আব্বাস আটক

-

সিদ্ধিরগঞ্জে মা ও দুই মেয়েকে গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আব্বাস মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আব্বাস নিহত নাসরীনের দুলাভাই (বড় বোনের স্বামী) বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজের সামনে থেকে তাকে ডিবির একটি টিম আটক করে। তিনিই মূল ঘাতক একটি চাকু দিয়েই তিনজনকে হত্যা করেছে। তার আক্রমন থেকে রক্ষা পায়নি নিজের মেয়েও। তাকেও ছুরিকাঘাত করে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে যায়।

ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আব্বাসকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার বহুতল ভবনের ৬ তলার বাসা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

নিহতরা হলো সুমন মিয়ার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২৬), তার মেয়ে নুসরাত (৮) ও খাদিজা (২)। নাসরিনের বোনের মেয়ে সুমাইয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরেই তিনটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘাতক হলেন আব্বাস। আব্বাসের সাথে তার স্ত্রীর ইয়াসমিনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে জিদ করে আব্বাসের শ্যালিকার বাসায় স্ত্রী চলে আসে। সে একটি গার্মেন্টে চাকরি করে।

বৃহস্পতিবার সকালে কারখানায় চলে যায়। শ্যালিকার সঙ্গে আলাপকালে কোন বিরোধের জের ধরেই শ্যালিকা ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে। আর আব্বাস তার প্রতিবন্ধী মেয়েকেও জখম করেছে আহত সুমাইয়া হাসপাতালে পুলিশকে বলেছেন, আমার বাবা (আব্বাস) আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার বাবাই খালামনি নাসরিন বেগম ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বাবা মাদকাসক্ত ছিলেন। গতকালও আমাকে মারধর করেছে। সে কারণেই গতকাল আমি ও আমার মা খালামনির বাসায় চলে আসি। 


আরো সংবাদ



premium cement