১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চী ন দে শে র রূ প ক থা

উড়ন্ত রাক্ষসী

-

(গত দিনের পর)
তারপর তিনি উপরের দিকে তাকালেন। গুড়ির ভেতর থেকে উপরে নীল আকাশ দেখতে পেলেন তিনি। কুটরির ভেতরে আবার ঘোড়া হাকালেন তিনি। এবার ঘোড়াটি গুড়ি বেয়ে বেয়ে দুলকি পায়ে উঠে গেল উপরে, নীল আকাশে।
এর পরের ঘটনা আরো অদ্ভুত!
সন্ন্যাসী চারণপ্রান্তরে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলেন, সুনীল আকাশের গায়ে দু’টি অগ্নিকুণ্ডলি দিকবিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে, এক অগ্নিকুণ্ডলি যেন আরেক অগ্নিকুণ্ডলির পিছু নিয়েছে। ছুটতে ছুটতে তারা এক সময় মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যায়। আরো কিছুক্ষণ পর মেঘের গুড়–গম্ভীর শব্দ শুনতে পেলেন সন্ন্যাসী। তারপর শুনতে পেলেন বজ্রপাতের মতো কানফাটানো চিৎকার।
আরো কিছুক্ষণ পর, অঝোর ধারায় শুরু হলো বৃষ্টি, রক্তবৃষ্টি। সন্ন্যাসী তখন বুঝতে পারলেন খুব সম্ভবত ওই দেবদূতের তীরের আঘাতে রাক্ষসীর মৃত্যু হলো। রাক্ষসীর গায়ের রক্তের ধারা বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে এখন পৃথিবীতে। (সমাপ্ত)

 


আরো সংবাদ



premium cement