১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

বাইশ.

বিশাল রুই। লালচে। প্রায় ৪০ কেজি ওজনের। মুহূর্তের মধ্যে ভয় আনন্দে পরিণত হলো। সবার মাঝে উপচে পড়া আনন্দ। নীলয়ের দাদা বললেন, ‘মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে-যা শত চেষ্টাতেও দ্বিতীয়বার আর ঘটানো যায় না। এবং সারাজীবন এই ঘটনা মনে করে মানুষ অতীতে ফিরে যায়। বিনোদিত হয়। আমাদের আজকের ঘটনাটাও ওরকম। সারাজীবন ধরে রাখার মতো। মোটা দড়ি মাছের কানকোতে লাগিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে দেওয়া হলো। মাছ ঝাঁপাঝাঁপি করে মাঝে মাঝেই নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে। মাছের সাথে সবার মনও লাফায়।
সরফরাজ সাহেব বললেন, ‘আমাদের গ্রামে একটি কথা প্রচলিত আছে-কিসমতের মাছ মরা।’ দেখ, এতবড় রুইমাছ আমি জীবনে দেখিনি। কত সহজেই না পেয়ে গেলাম! আমি আমার জীবনে দেখেছি, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। যা হওয়ার না,তা শত চেষ্টাতেও হয়নি। এ এক রহস্য। গোলক-ধাঁধা। মাঝে মাঝে মনে হয়,একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের মাঝেই আমাদের চলা। এর বাইরে পা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। আবিদ বলল,‘দাদু ভাই, মাথায় সুন্দর এক আইডিয়া এসেছে।’
‘কী আইডিয়া?’
‘এই বড় মাছ দিয়ে আমরা জাপানিজ-সাকানা নো নিটসুকে রান্না করতে পারি।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement