১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

একুশ.

গিয়ে দেখি দোয়াড়ির ওপর তেরছাভাবে পড়ে আছে লম্বা ছায়া। জোছনায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মানুষের ছায়া। আশপাশে কেউ নেই। কিছু নেই। ছায়া কোত্থেকে এলো! আমি আর গেদা ভড়কে গেলাম। আমার হাতে পাঁচ ব্যাটারি টর্চ। ছায়ার ওপর টর্চ মারলাম। ছায়া অদৃশ্য হলো। টর্চ বন্ধ করলে ছায়া আবার দেখা যায়। আমরা কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। গেদা বলল, চল, চলে যাই। আমার আসতে ইচ্ছে করছে না। খুব রাগ হচ্ছে। পরপর কয়েকবার টর্চ মারলাম। ছায়াটা প্রান্ত বদল করল। ডান পাশ থেকে বাম পাশে চলে গেল। আমাদের ভয় আরো বেড়ে গেল। আমরা চলে এলাম। কাছে যাওয়ার সাহস হলো না। চলে আসার পর আমাদের দু’জনেরই প্রচণ্ড জ্বর। এই জ্বর ছাড়তে আমাদের অনেক দিন লেগেছে। গেদুর অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছিল। এ কথা বলার সাথে সাথে বিশাল বড় রুই মাছ লাফিয়ে পড়ল নীলয়দের নৌকায়। রুই মাছের লেজের বাড়ি লাগল আবিদের গায়ে। আবিদ ওমাগো বলে চিৎকার দিয়ে উঠল। সবাই ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। সবার মনের ভেতর ভূত ঢুকে আছে। তাই মাছ লাফানোকে তারা ভূতের লাফ বলে মনে করেছে। কিন্তু নীলয়ের দাদা পুরনো মানুষ। উনি বুঝতে পেরেছেন। মাছটা নৌকার পাটাতনে পড়ার সাথে সাথে গায়ের চাদর দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement