১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুর্পাব ফেয়ারি-রেন

-

সত্যি বলতে কী, সুর্পাব ফেয়ারি-রেন বিশ্বের সুন্দরতম পাখিগুলোর একটি। বাংলায় একে খাসা পরী-পাখি বলা যায়। এ পাখি সুর্পাব ব্লু-রেন নামেও পরিচিত। তার মানে একে খাসা নীল-পাখিও বলা চলে। এটি অস্ট্রেলিয়ার দেশজ পাখি।
সুর্পাব ফেয়ারি-রেন একটি গায়ক পাখি। নজরকাড়া সৌন্দর্যের কারণেই সম্ভবত এর নাম হয়েছে সুর্পাব ফেয়ারি-রেন। প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখিটির সৌন্দর্য আরো বাড়ে। কারণ এ সময় এর গায়ে রঙিন পালক গজায়। নতুন গজানো পালকে পুরুষ রেনের মাথার সামনের অংশ উজ্জ্বল নীল রঙ ধারণ করে। গলার রঙ গাঢ় নীল। প্রজনন ঋতুর বাইরে পুরুষ রেন অপরিণত। স্ত্রী পাখির গায়ের রঙ ধূসর বাদামি। সাধারণত এ পাখির দেহের দৈর্ঘ্য ১৪ সেন্টিমিটার। ওজন আট থেকে ১৩ গ্রাম। পুরুষ ফেয়ারি-রেন স্ত্রীটির চেয়ে আকারে সামান্য বড় হয়। লেজের দৈর্ঘ্য গড়ে পাঁচ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার। ঠোঁট তুলনামূলকভাবে লম্বা, সরু ও চোখা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার ছোট ঝোপঝাড় যেমন গুল্মজাতীয় উদ্ভিদসহ তৃণভূমি, ঘন বন, এমনকি ঘরোয়া বাগানেও এদেরকে বসবাস করতে দেখা যায়। এ ছাড়া এরা শহরের পরিবেশেও বেশ ভালোভাবে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারে। এ কারণে এদেরকে সিডনি, ক্যানবেরা, মেলবোর্ন ইত্যাদি শহরেও দেখা যায়। এদের প্রধান খাবার বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ। সম্পূরক খাবার বীজ।
ঘাস ও মাকড়সার জাল দিয়ে এরা গোলাকার বাসা তৈরি করে। মাটির কাছাকাছি এক পাশ দিয়ে বাসার প্রবেশমুখ তৈরি করে। স্ত্রী ফেয়ারি-রেন তিন থেকে চারটি লালচে বাদামি ফোঁটা যুক্ত সাদা ডিম পাড়ে। ১৪ দিন ডিমে তা দেয়। সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চার চোখ বন্ধ থাকে। চোখ খুলতে পাঁচ দিন সময় লাগে।


আরো সংবাদ



premium cement