১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পালিলা প্রায় বিপন্ন

-

সোনালি-হলুদ মাথা ও বুক, সবুজাভ ডানা ও লেজ-সব মিলে পালিলা পাখির বাইরের রূপ বেশ আকর্ষণীয়। আজকাল পালিলা প্রায় বিপন্ন প্রজাতির পাখি। হাওয়াই অঞ্চলে জন্মানো ম্যামেন নামের গাছের সাথে এ পাখির বাস্তুতান্ত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আর এ গাছের ব্যাপক ধ্বংসের কারণেই পালিলা পাখির এ বিপন্ন দশা। এ পাখি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছয় হাজার ৫০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় বসবাস করে। এদেরকে হাওয়াই দ্বীপের মাওনা কির (আগ্নেয়গিরি) উঁচু ঢালে দেখা যায়। যেখানে প্রচুর পরিমাণে ম্যামেন বৃক্ষ জন্মায়, সেখানেই পালিলা গোষ্ঠীর আনাগোনা বেশি দেখা যায়। এরা ম্যামেন বীজ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এ বীজের পাতলা আবরণে থাকে বিশ্রী স্বাদের ফেনলজাতীয় যৌগ। বীজের ভ্রূণে থাকে প্রাণঘাতী কুইনোলিজিডিন অ্যালকালয়েড। এ বিষাক্ত বীজ খেলে ছোট প্রাণী মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যায়। অথচ এ বিষাক্ত বীজ খেয়ে পালিলা কিভাবে টিকে থাকে সেটা একটি বড় ধরনের রহস্য। এ রহস্য উদঘাটন অবশ্য পালিলাই করে।
কারণ প্রোটিন চাহিদা মেটাতে এরা শুয়োপোকা খায়। আর এ শুয়োপোকাই ম্যামেন দেয়। বীজের বিষকে নিষ্ক্রিয় করে পালিলার গান তেমন একটা শোনা যায় না। এরা শিসধ্বনি বাজায়। এদের ডাক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। কখনো স্পষ্ট, কখনো ঘণ্টাধ্বনির মতো শিস দেয়। এদের শিস শুনলেই হাওয়াইয়ানরা মনে করে বৃষ্টি আসন্ন। অর্থাৎ এরা পালিলার শিসকে বৃষ্টির প্রতীক মনে করে। স্ত্রী পালিলা কাপ আকৃতির চার ইঞ্চি ব্যাসের একটি বাসা তৈরি করে। বাসার
নির্মাণসামগ্রী হিসেবে এরা ঘাস, উদ্ভিদের কা, মূল, লাইকেন ইত্যাদি ব্যবহার করে। স্ত্রী পালিলা দু'টি ডিম পাড়ে। বাচ্চার যত্ন উভয়ে মিলেই করে। পালিলার বাচ্চা ৩১ দিন পর্যন্ত বাসায় অবস্থান করে। এদের আবাস হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement