১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দুরন্তলতা

-

দুরন্তলতা বহুবর্ষজীবী ঝোপাল গুল্ম প্রকৃতির ছোট গাছ। ডালে কাঁটা আছে। তবে উল্লিখিত প্রজাতির গাছ প্রায় কাঁটাবিহীন। পাতাও অন্যদের চেয়ে বড় ও সবুজের মধ্যে হালকা ঘিয়া রঙের ছোপ দেয়া। এ জন্য অনেকে বলেন বিচিত্রা বা ভেরিগেটেড দুরন্তলতা। অন্য নাম ডুরান্টা।
রোমের এক উদ্ভিদতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসক ক্যাস্টর ডুরান্টিসের নামানুসারে ওর এ নাম হয়েছে। দুরন্তলতার ১০টি প্রজাতি রয়েছে। তবে সব প্রজাতি চাষ হয় না। এটা এবং D. Lorentzii, এ প্রজাতি দু’টির গাছ লাগানো হয়। তবে প্রথমটির কদরই বেশি। প্রতিটি প্রজাতির রয়েছে অনেক জাত। তাই এক দুরন্তলতার চেহারার সাথে অন্যদের মেলানো মুশকিল। ইদানীং দুরন্তলতারও বেশ কিছু নতুন বিচিত্র জাত বেরিয়েছে। পাতায়ও এসেছে বৈচিত্র্য। ডুরান্টা ভেরিগেটা দুরন্তলতার একটি বিশিষ্ট জাত। পাতা নিরেট সবুজ নয়। এর পাতা সবুজের মধ্যে হলদে সাদায় চিত্রিত। তবে ফুল সাধারণ ডুরান্টার মতোই নীল রঙের। লম্বা শীষে থোকা ধরে ছোট ছোট নীল রঙের ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত।

প্রতিটি নীল পাপড়ির মধ্যে আবার গাঢ় নীল একটি লম্বা দাগ ফুলের শোভাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সাদা ফুলের একটি জাতও আছে। তবে ফুলের জন্য নয়, বাগানের বেড়া, পথের দুই ধারে বা তোরণের দুই পাশে দুরন্তলতা গাছ লাগানো হয়। বাগানে বর্ডার প্লান্ট হিসেবেও লাগানো হয়। ঘন ঝোপ ছেঁটে রাখলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখায়। টবেও লাগানো যায়। দুরন্তলতা সব সময়ই রোদ চায়। গাছে মটর দানার মতো ফল ও ফলে বীজ হয়। পাকা ফলের রঙ কমলা। তবে সাধারণত দাবা কলম ও শাখা কলমের মাধ্যমে নতুন চারা তৈরি করা হয়। প্রায় সব বাগানেই আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মেক্সিকো ও ব্রাজিল দুরন্তলতার আদি বাসভূমি বলে মনে করা হয়।
এর ইংরেজি নাম Golden dew drop, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Duranta repens (syn. D. plumieri), ও পরিবার Verbanaceae


আরো সংবাদ



premium cement