২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

-

একচল্লিশ.

সাধারণভাবে ডিগ্রি পাশ করলেও বড়চাচীর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নানারকম কুসংস্কার, ভূত-প্রেত, হাঁচি-কাশি সবকিছুই বড়চাচী বিশ^াস করেন।
বড়চাচী ও প্রসঙ্গে আর কিছু বললেন না। শুকোতে দেওয়া মেয়েলি কাপড়চোপড়গুলো তুলতে তুলতে নিচু স্বরে বললেন, ‘কাল রাতে কী দেখে ভয় পেয়েছিলি বলছিলি?’
অনিক উড়িয়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল, ‘বাদ দাও বড়চাচী। বললাম না আমার মনের ভুলও হতে পারে। তোমার এইসব জামাকাপড়ই আমি হয়তো রাতে দেখেছি।’
বড়চাচী দৃঢ়স্বরে বললেন, ‘আমি রাতে কোনো জামাকাপড় শুকোতে দেইনি। কেউ দেয়নি। এগুলো সকালে দিয়েছি।’
অনিক একটু হাসির ভঙ্গি করে বলল, ‘আসলে কিছু দেখিনি চাচী। মজা করে বললাম।’
অনিক সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো। বড়চাচী তার পথরোধ করে দাঁড়ালেন। এখানে অনিক ছাড়া আর কেউ নেই তারপরও ফিসফিস করে বললেন, ‘তুই কোনো মজা করিসনি। আমি জানি, তুই ঠিকই দেখেছিস। আমিও একদিন রাতে দেখেছি। তারপর থেকে আর কখনো রাতে ছাদে যাই না।’
অনিক সন্দিহান দৃষ্টিতে বড়চাচীর দিকে তাকাল। বড়চাচী কি তার সাথে মজা করছে? না তো! (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement