২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০৮ জিলকদ ১৪৪৪
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

-

দশ.

তারপর একটা ইট টেনে দরজাটা খুলে রেখে এলো ছাদে। ছাদে ছাদবাগান করা হলেও তা ব্যাপক নয়। চার পাশে টবে টবেই লাগানো হয়েছে নানান গাছ। মাঝখানটা ফাঁকা। অনিক হাতের মোবাইলের টর্চের তীব্র আলো জ্বেলে নিলো। এমনিতে আশপাশের ভবনের আলো, আকাশের আলোয় মোটামুটি সবকিছুই দেখা যায়। কিন্তু সে দাদির কথা মতো একটা জায়গা খুঁজছে। ছাদের পানির ট্যাংকির সাথের লাগানো লোহার সিঁড়িটা। ওটাতেই নাকি সুমিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল।
বিশাল পানির ট্যাংকির পেছন দিকে সিঁড়ির কাছে গিয়ে অনিকের একটু ভয় ভয় করতে লাগল। সুমির সুইসাইডের ঘটনা জানার আগে এই সিঁড়িটা তার কাছে একটা সাধারণ সিঁড়িই হয়ে ছিল। ঘটনার শোনার পর থেকে অসাধারণ সিঁড়ি মনে হচ্ছে। তাহলে মানুষের সব ভয়ই কি মনে-মগজে মস্তিষ্কে থাকে?
অনিক টর্চজ্বলা মোবাইলটা মুখের মধ্যে ধরে রেখে লোহার সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠতে লাগল। কাউকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে হলে উপরের সিঁড়ির লোহার রডের সাথেই ঝুলতে হবে, তা না হলে পা মাটিতে ঠেকবে না? সুমি মেয়েটা কেমন ছিল? অনেক লম্বা? অনেক খাটো? অনিক যখনই সুমির কথা ভাবছে তখনই দুঠোঁট দিয়ে ধরে থাকা মোবাইল থেকে হঠাৎ করে টর্চের অ্যাপটা অফ হয়ে গেল। হঠাৎ জোরালো আলো চলে যাওয়ায় চোখে একটা ধোঁয়াশার মতো লাগল। (চলবে)

 

 


আরো সংবাদ


premium cement