১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

-

সাত.
দাদার বানানো পাঁচতলা বাড়িতে তারা সবাই মিলে থাকে। কোন লিফট নেই, হেঁটে হেঁটে ছাদে উঠতে হয়। দাদারা থাকেন দোতলায়। তারা তিনতলায়।
তিনতলায় এসে দরজার লক খুলতে খুলতে আম্মু বললেন, ‘যাও তো অনিক, দাদা দাদিকে বলে এসো, বাবা এবার জন্মদিনে আসছে না! জানিয়েছে।’
অনিক একটু বিরক্ত স্বরে বলল, ‘কোনবারইবা আসে! ছয় বছর হয়ে গেল।’ বলেই বুঝল ভুল বুঝেছে। এই হিসেব মায়ের চেয়ে বেশি আর কেউ রাখে না। সে তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে দোতলায় দাদার দরজায় কলিংবেল চাপল।
অনিকের দাদা নঈমুল ইসলাম বড় পর্দার টিভিতে খবর দেখছিলেন। দাদি হাঁটুতে বাতের ব্যথা নিয়ে যন্ত্রণা কোঁকাচ্ছেন। শুয়ে আছেন। অনিক আগে দাদির ঘরে গিয়ে দাদিকে দেখে এলো। বিড়বিড় করে বলল, ‘দাদি হাঁটুতে মুভ মলম দিয়ে টেনে দেবো?’
দাদি চিঁ চিঁ করে বললেন, ‘দিয়েছি। তাতেও কমছে না। তোর কি খবর? বাবার সাথে কথা হয়েছে?’
অনিক উপর নিচ মাথা নেড়ে বলল, ‘হু।’
‘এবারও আসবে না, তাই না?’
অনিক আবারও উপর নিচ মাথা নাড়ল। মুখে হু বলল না।
দাদি নিজের পায়ের ব্যথা ভুলে বললেন, ‘চিন্তা করিস না। তোর জন্মদিন আমরা হৈহল্লা করে পালন করব। তোর বাবা এলেও অমনটি করতে পারত না।’
অনিক ইতস্তত করে বলল, ‘দাদি, আমাদের মধ্যে কি কেউ মারা গেছে?’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল