ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ
- প্রিন্স আশরাফ
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
সাতাশি.
‘আমার কিন্তু ভালো লাগছে না।’ ভীতুর ডিম নিলয় বলল। ‘ওরা যদি ওরকমভাবে আমাদের আক্রমণ করে!’
সজীব সবাইকে নিয়ে ওদিকেই এলো। তার আগে কেউ তার পিছু নিয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে বেশ কিছুটা ঘুরপথ ধরল। যখন বুঝতে পারল কেউ লক্ষ্য করছে না তখনই সে এক্সম্যান স্যারের দেখিয়ে দেয়া সুড়ঙ্গ মুখের কাছে এলো।
নিলয় ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আমরা এই জঙ্গলের মধ্যে কী করতে এসেছি?’
‘জায়গামতো গেলেই দেখতে পাবি।’ সজীব ফিসফিস করে বলল।
ওরা প্রায় সবাই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে। কেউ দেখলে ভাববে কোথা থেকে প্রাইভেট পড়ে আসছে। সাথে দুজন মেয়ে থাকায় ওদের উপর সন্দেহটা কম পড়ছে।
সজীবের হাতে টর্চ লাইট। সে কয়েকটা নারকেল গাছের আশপাশে টর্চের আলো ফেলল। তাকে কেমন জানি বিভ্রান্ত দেখাল। ‘সুড়ঙ্গমুখটা তো এদিকে কোথাও ছিল।’ নিজেকেই বলল সে।
রাফি পাশে এসে বলল, ‘হারিয়ে ফেলেছিস?’
‘বুঝতে পারছি না। এক্সম্যান স্যারের সাথে যখন বেরিয়ে ছিলাম তখন একটা ঝোপমতো ছিল। এখন কোন ঝোপ তো দেখছি না।’
নিলয়ই সমাধান দিলো, ‘ওই দেখ, অন্ধকার ঝোপের মতো কী যেন দেখা যাচ্ছে।’
সবাই ঝোপের কাছে গেল। ঝোপের মাঝখানের দিকের একটা গাছ নোয়ানোমত। সেদিকে টর্চের আলো ফেলে সজীব বলল, ‘মনে হয় এইটাই। দেখ তো টান দিলে উঠে আসে কিনা!’
রাফি এগিয়ে গিয়ে টান দিতেই কাটাঝোপটা আপসে উঠে এলো।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা