২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

চুরাশি.
সামলে নিয়ে রাফি বলল, ‘ভালো আন্টি। খুব মজা করলাম।’ তারপর মনে পড়ল সজীবকে বের করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো যুক্তি আর হয় না। ‘আজ রাতেও অনেক মজা করব আন্টি। আর সেজন্য সজীবকে আমরা নিয়ে যেতে এসেছি।’
এবার শাহেদা বেগমের চমকাবার পালা। কাল রাতে ছেলেকে পাননি। আজও ওদের সাথে যাবে? কিন্তু এই বয়সে ঘরে আটকে রাখলে আরো বেয়াড়া হয়ে যায়! ওর বাবাও বাড়িতে নেই। সকালে এলেও জরুরি কাজে আবার সন্ধ্যায় বেরিয়ে গেছে।
নিলয় বলল, ‘আমরা সবাই মিলে ওদের বাসাতেই থাকব আন্টি।’ খুব ভোরে আবার চলে আসব। সকালে এসে স্কুলে যেতে পারব।’
শাহেদা বেগম সজীবের দিকে তাকালেন। ছেলে যদি যেতে না চায় তিনি খুশি হন। ‘বন্ধুদের জন্মদিনে যাচ্ছিস কিছু নিয়ে যাবিনে?’
রাফি তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘না না আন্টি কিচ্ছু লাগবে না। বাড়িতে সেরকম কিছু হচ্ছে না। এই আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একসাথে থাকব। পড়ালেখাও করব।’ তারপর সজীবের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তোর বইয়ের ব্যাগ নিয়ে নিস!’
মা বললেন, ‘থাক! কত যে পড়াশুনা হবে সে আমার জানা আছে!’
এরপর রাফি আর নিলয়ের বাসার পালা। সেখানে গিয়ে সজীব জানাল, ‘আন্টি ওকে একটু আমাদের বাসায় যেতে হবে। রাতে এক সাথে থাকব। কালকে আমি ক্রিকেট খেলে জিতেছিলাম তো! আর বাড়িতে ছিলাম না তাই আম্মু আমাদেরকে খাওয়াবে!’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement