২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

চুয়ান্ন.

রুমের দরজায় তালা দেয়ার কথা আর কারো মনে রইল না।
সেদিন গভীর রাতে স্কুলের মাঠে শিম্পাজীর মতো এক প্রাণীর সাথে বারো তেরো বছরের এক ছেলেকে হাঁটতে দেখা গেল। স্কুলের নাইটগার্ড ভয়ে রুমে ঢুকে সেই যে দরজা দিয়েছে আর বেরোবার নাম নেই।
ফজরের আজান হতেই সেলারের ঘর থেকে এক্সম্যান ধড়ফড় করে উঠে পড়লেন। আজানের শব্দে ওঠেননি। উঠেছেন এলার্মের যান্ত্রিক শব্দে। সজীবের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দিলেন। ছেলেটা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। গবেষণার কারণে জীবনে ঘর সংসার করা হয়নি। তাহলে হয়তো তারও এরকম বয়সী একটা ছেলে থাকত। কিন্তু ছেলেটাকে এখন না জাগিয়ে তুললে হবে না। দিনের আলো ফুটে ইঠে বাড়িতে গেলে সমস্যা হতে পারে। রাতে যারা খুঁজতে এসেছিল ওরা যদি ওঁৎ পেতে থাকে?
এক্সম্যান সজীবকে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিলেন। নীলচে এক ধরনের আলো জ্বলছে সেলারে। আলোর উৎস দেখা যাচ্ছে না। সজীব ঠেলে চুরে উঠে আতঙ্কিত স্বরে বলল, ‘কি হয়েছে?’ কোথায় শুয়ে আছে ঠাহর করতে তার একটু দেরি হলো।
‘সকালের আলো ফোটার আগেই চলো বেরিয়ে পড়ি। তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি।’
‘আমি একাই বাড়ি যেতে পারব স্যার। বাড়ির পথটা আমি চিনি।’ সজীব ঘুম জড়ানো গলায় বলল। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement