২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

-


ত্রিশ.
আর সেজন্যই তার মনের মধ্যে সবসময় ভূতের ভয় কাজ করে। ওঝার সাগরেদ ওঝার চেয়ে আরো বেশি ভিতু। সে দুটো ভূতকে বের হতে দেখে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে পড়িমড়ি করে দৌড় দেয়!
ওঝা আর দৌড়ানোর সময় পেল না। দুই ভূত হাত ধরাধরি করে তার দিকেই তেড়ে আসছে দেখে ওঝার দাঁত কপাটি লেগে গেল। গোঁ গোঁ শব্দ করে চাতালের ওপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইল।
কোনো এক বিচিত্র কারণে মোটা আর রোগা দুই ভূতকে দেখে আব্বাছ খাঁ ও শারাফাত আলী ভয় পেল না। বরং দুই ভূতকে তাদের দুজনের কাছে বন্ধুর মতো মনে হলো। তারা এতদিনে নিশ্চিত হলো এই দুই ভূতই তাদের মধ্যে ঢুকে তাদের দুজনকে ভালো মানুষ করে ছেড়েছে। এই যেমন এখন তারা দুই লাখ টাকা হাঁড়ির মধ্য থেকে বের করে নেওয়ার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। ওঝার বুজরুকি ধরা পড়ার পরে এখানে থেকে কোনো লাভ নেই ভেবেই বেরিয়ে যেতে চেয়েছিল। তখনই দুই ভূত ওদের দুজনকে ছায়ার ইশারায় ডাকে। হাঁড়ির দিকে দেখিয়ে দেয়। হাঁড়ির টাকা দেখিয়ে দেয়।
এরকম পরোপকারী দু’জন ভূতকে ছাড়তে ওদের মন চায় না। আব্বাছ খাঁ হাঁড়ি থেকে টাকাটা তুলে শারাফাত আলীর হাতে দিতে দিতে বলে, ‘যে টাকা ভূতের পেছনে ভূতের বেগার খাটতে দিচ্ছিলাম, সেই টাকা দিয়ে কাল পথশিশুদের একবেলা ভালোমন্দ খাওয়ানোর আয়োজন করলে কেমন হয়?
‘খুবই ভালো হয়। এক্কেবারে আমার মনের কথা বলেছ দোস্ত!
‘আর যাদের দু’জনের জন্য আজ আমাদের এই পরিবর্তন ওদের এখানে ফেলে রেখে যাওয়াটা কেমন দেখায়?’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement