২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

-

ঊনত্রিশ.
দেখি ওঝা আর কি ভং ধরে?’
ওঝা নানান মন্ত্র পড়ে মন্ত্রপুত ছাই আব্বাছ খাঁ ও শারাফাত আলীর গায়ে ছুড়ে মারতে লাগল। ওরা দুজনেই নির্বিকার। ওঝা বোধ হয় একটু ধন্ধে পড়ে গেল। মানুষের গায়ে ভূত থাকলে তো ভূতের যন্ত্রণায় ওরা ছটফট করবে। অবশ্য এই দুজন কিছুটা বোকা গোছের মানুষ তো, এরা কিছু বুঝতে পারছে না। তবুও ওঝা গম্ভীর স্বরে বলল, ‘আপনাদের দুজনের মধ্যের ভূত আর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনাদের ছেড়ে চলে যাবে। চলে গিয়ে গাছে উঠে বসবে। তখন আপনারা হয়তো অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। তাতে ভয় পাবেন না।’
আব্বাছ খাঁ ও শারাফাত আলী দুজনেই একসাথে দুদিকে মাথা নাড়ল। তারা ভয় পাবে না।
আর ঠিক এই সময়েই গাভু ইশারা করল টাভুর দিকে। টাভু ইশারাটা বুঝল। এখনই মানুষের শরীর থেকে ভূত শরীর নিয়ে বের হতে হবে। তারপর ভয় দেখাতে হবে ওঝাকে।
ওঝা যখনই কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে হাঁড়িতে রাখা দুই লাখ টাকার দিকে হাত বাড়াতে যাবে তখন অদ্ভুত একটা দৃশ্য দেখতে পেল।
ওঝা দেখল মোটা লোকটার মধ্য থেকে ওই লোকটারই মতোন মোটা কী একটা যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। অনেকটা সাপের খোলস ছেড়ে বের হওয়ার মতোই। ঠিক তার পাশেই শুকনো লোকটার মধ্য থেকেই ওরকমই একটা অবয়ব তাকে ছেড়ে বেরিয়ে আসছে।
ভূতের ওঝা এতদিন ধরে ভূত ছাড়ানো ও ঝাড়ানোর নামে নানান ফন্দিফিকির করলেও সে সত্যিকারের ভূত কখনো দেখেনি। সত্যিকারের ভূতের পাল্লায় কখনো পড়েনি। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement