১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

-

পনেরো.
ব্যাটার মাথায় এমন প্যাঁচ খেলিয়ে দিলাম সুড়সুড় করে সব মাফ করে দিলো। আসল টাকাটাও রিকশাওয়ালাকে দান করে দিলো।’
‘তুই তো ও ব্যাটারে পথের ফকির করে ছাড়বি।’
‘অবশ্যই ছাড়ব। পথের ফকির ছিল। আবার পথের ফকির হবে। কোনো অসুবিধা আছে?
‘হুঁ আছে। আমাকে এখনই যেতে হবে।
‘কোথায়?’
‘শরীরের মধ্যে।’
‘এই তো এলি। এখনই যাবি কেন?’
‘না হলে দেরি হয়ে যাবে। অনেক কাজ। এক দৌড়ে...’
‘তুইও গাধা কম যাস না। আমাদের ভূতেদের কি দৌড়ানো লাগে। চোখের পলকেই....’ কথা শেষ করার আগেই গাভু বুঝতে পারল টাভু চোখের পলকেই উধাও হয়ে গেছে। কী আর করা! মানুষের শরীরের আস্তানায় যাওয়া যাক।

আব্বাছ খাঁ তার গোপন আস্তানায়। মক্কেলকে নিয়ে জালিয়াতির কাজ এখানেই সারেন। জমির নকল দলিল রেজিস্ট্রি খতিয়ান সব কাজ সেরে ফেলেছেন। নকল কাগজপত্র তার হাতেই। মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েই দলিল দেবেন।
মক্কেল মোখলেস লাখ টাকার দুইটা বান্ডিল বাড়িয়ে দিলো। ‘কাগজপত্র সব রেডি তো?’
আব্বাছ খাঁ গম্ভীর মুখে বলল, ‘হুঁ।’
‘কোনো সমস্যা?’
‘হুঁ।’
‘ব্যাপার কী? এরকম হুঁ হুঁ করছেন কেন?’
‘না মানে ও কিছু না... মানে বলছিলাম কী...’ আব্বাছ খাঁ কথা খুঁজে পেল না। কে যেন তার মাথার মধ্যে বসে কথা সাজিয়ে দিচ্ছে। ‘মানে এ জমি আপনি পাবেন না?’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement