১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

-

তিন.
‘সে তো নিরুপায় হয়ে। অ্যাই অ্যাই করে ডাকলাম, ফিরলি নে। শেষে তুই যেমনটি তেমনটি বলেই ডাকতে হলো।
‘ঠিক আছে, আর ডাকবি না। কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া, মোটাকে মোটা বলিতে নাই। মানুষ থাকতে এসব শিখিসনি।’
‘শিখেছি। আরো শিখেছি, রোগাকে রোগা বলিতে নাই।’
‘তাহলে তোকে ডাকবো কি বলে। আমার ছোট মাথায় তো কিছুই আসছে না।’
‘তোর তালের আঁটিতে কাজ না হলে আমার মাটির হাঁড়ি তো আছেই। দেখি বাজিয়ে কোনো বুদ্ধি বের করতে পারি কিনা।’
রোগা ভূত শুয়ে শুয়ে নিজের মাথায় তবলা বাজাতে থাকে। তাতে যুত হয় না। শেষে সে উঠে বসে। জায়গা পেয়ে ঠেলেঠুলে মোটা ভূত তার পাশে বসে।
হঠাৎ রোগা ভূতের তবলা বাজানো বন্ধ হয়ে যায়। মাটির হাঁড়িতে মানে মাথায় প্রকান্ড একটা চাটি দিয়ে বলে, ‘ইউরেকা। পেয়েছি।’
‘কি?’
‘দি আইডিয়া?’
‘মানে?’
‘মানে আমাদের নাম। এমন নাম দেব যাতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না। নামও হবে আবার চেহারায় বোঝা যাবে।
‘সেটি কী রকম?
‘ধর, তুই খুব মোটা। তোকে আমি ডাকলাম টাভু বলে। মোটার মো আর ভূতের ত বাদ। টাভু। কি নাম পছন্দ হয়েছে।
‘হুম। তাহলে তোর নাম কি হবে? গাভু?’
‘ঠিক ধরেছিস।
‘কিন্তু এই ভাবে নাম না ভাংঙিয়ে যদি মোটা থেকে স্লিম হতে পারতাম!
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement