২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

-

আটচল্লিশ.
তখনই সবুরের উত্তেজিত গলা ভেসে এলো, ‘চাচা, বোতল পাইছি!’
আমরা কবর গবেষণা বাদ দিয়ে সবুরের গর্তের কাছে চলে এলাম। সবুর গর্ত থেকে সবুজরঙা বোতলটা বের করে উঁচিয়ে ধরল। জিন সাধক ঝোলা থেকে একটা সাদা কাপড় বের করে তাতে বোতলটা ধরলেন। তারপর বললেন, ‘অন্য বোতলও পাওয়া যাবে। খোঁজ।’
উৎসুক আব্বা বললেন, ‘এই জিনের বোতল দিয়ে কি করবেন?’
‘কাজে লাগাব। জিনগুলোকে মুক্ত করে দেবো। আমি মুক্ত করে দেওয়ার কারণে ওরা আমার প্রতি এক ধরনের কৃতজ্ঞতা বোধে আবদ্ধ হবে। তখন আমি ওদের আমার দাসের মতো কাজ করাতে পারব এবং এই জিন দিয়েই আমি খোকার উপরের প্রেতাত্মাকে হটিয়ে দিতে পারব।’
বোতল আরেকটা পাওয়া গেলেও তিন নাম্বরটা পাওয়া গেল না। সবুর আরো খোঁড়াখুঁড়ি করল। কিন্তু সেও ভালোভাবে জানে পাওয়া যাবে না। অগত্য আমিই মুখ খুললাম, ‘আরেকটা বোতল পাওয়া যাবে না আব্বা। ওটা আমরা আগেই পেয়েছি।’ সত্যি স্বীকার করে ফেলা ভালো। জিনসাধকের সামনে মিথ্যে বলে যেমন পার পাওয়া যাবে না, সত্য গোপন রেখেও লাভ হবে না।
সবুরের মুখ ফ্যাকাশে সাদা হয়ে গেল। আব্বা ধমকের স্বরে বললেন, ‘তোরা আগেই পেয়েছিস মানে কি?’
‘মেটে আলু খুঁড়তে এসে আমি আর সবুরভাই সবুজ বোতল পেয়ে যাই। আমি বোতলটা আবার ওখানে পুঁতে দিতে বলি। কিন্তু সবুরভাই বোতলটা পুঁতে না দিয়ে মুখ খুলে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে আমি খালি বোতলটা পুকুরে দেখতে পেয়েছি।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement