১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাসমানিয়ান ডেভিল

তাসমানিয়ান ডেভিল -

তাসমানিয়ান ডেভিলের কথা বলছি। তোমরা হয়তো এ প্রাণীর নাম শুনে থাকবে। এটি কী? একধরনের মাংসাশী মারসুপিয়াল। বুকে কাঁপন ধরানো উচ্চনাদী শব্দ সৃষ্টি করার কারণে ইউরোপিয়ান অভিবাসীরা এর নাম দিয়েছে ডেভিল। ১৯৩৬ সালে থাইলাসাইন নামের মারসুপিয়ালের বিলুপ্তির পর এটিই এখন সবচেয়ে বড় মাংসাশী মারসুপিয়াল। এদেরকে শুধু অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে পাওয়া যায়। তাই একে বলে তাসমানিয়ান ডেভিল। এটি সার্কোফিলাস গনের একমাত্র জীবিত সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম ঝধৎপড়ঢ়যরষঁং ঐধৎৎরংরর. এ প্রাণীর দেহ কালো লোমে ঢাকা। মাথার আকার বেশ বড়। পেছনের পায়ের চেয়ে সামনের পা একটু বড়, যা অন্যান্য মারসুপিয়ালের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। দেহের অর্ধেক সমান দৈর্ঘ্যরে লেজে এরা চর্বি জমা করে রাখে। পুরুষ ডেভিল স্ত্রী ডেভিলের চেয়ে আকারে বড় হয়। পুরুষ ডেভিলের দেহের গড় দৈর্ঘ্য ২৫ দশমিক ৭ ইঞ্চি। ওজন আট কেজি। স্ত্রী ডেভিলের দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি। ওজন ছয় কেজি।
জানো, তাসমানিয়ান ডেভিল আকারে একটি ছোট কুকুরের সমান। তবে এর দেহ পেশিবহুল ও মোটা। স্বল্প দূরত্বে এরা ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। এরা প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে কামড় দেয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কামড়ে শক্তি প্রয়োগের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেহের আকার অনুসারে কামড়ে সবচেয়ে বেশি শক্তি প্রয়োগ করে তাসমানিয়ান ডেভিল। কামড়ের সময় এরা ৩৫ হাজার কিলোপ্যাসকেল চাপ সৃষ্টি করে।
উত্তেজিত হলে এরা এক ধরনের তীব্র গন্ধ নিঃসৃত করে। এর ঘ্রাণশক্তি বেশ তীব্র। শ্রবণশক্তিও প্রখর। এরা শিকার ধরে রাতে। দিনে ঝোপঝাড়ে অথবা গর্তে লুকিয়ে থাকে। নিশাচর প্রাণী হলেও দিনের বেলায় মাঝে মধ্যে এরা রোদের আলোয় বিশ্রাম নেয়। এরা সুবিধাবাদী খাদক। অর্থাৎ এরা জীবন্ত ও মৃত উভয় ধরনের খাবারই খায়। পছন্দের শিকার ওমব্যাট। এ ছাড়া স্থানীয় ছোট স্তন্যপায়ী গৃহপালিত পশু, পাখি, মাছ, ব্যাঙ ও সরীসৃপ-জাতীয় প্রাণী খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। দিনে এরা দেহের ওজনের ১৫ শতাংশ খাবার গ্রহণ করে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement